দীর্ঘ সাত বছর পর আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। প্রার্থীতার জানান দিতে ক্যাম্পাসে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোর পাশাপাশি মিছিল, মিটিং, শোডাউনে ব্যস্ত সময় পার করছেন পদপ্রত্যাশীরা।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও চত্ত্বর ঘুরে দেখা যায়, পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার, ফেস্টুনে ভরপুর। সেইসঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়েছে দলীয় টেন্টে। রাত হলেই নেতাকর্মীরা হলে হলে মিছিল করছেন। সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসে এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে বর্তমান কমিটির সহসভাপতি কাজী আমিনুল হক লিংকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, গণযোগাযোগ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদ দূর্জয়, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ও আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বদেশ।
নেতৃত্বের দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা বর্তমান কমিটির সহসভাপতি কাজী আমিনুল হক লিংকন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ খাবারের মান ও মূল্য নির্ধারনে কাজ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যাতায়াত ভাড়া নির্ধারণে কাজ করব। হলে সিট বানিজ্য জিরো পার্সেন্টে নিয়ে আসব। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে রাবি ছাত্রলীগ একসাথে করবে ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন বলেন, দেশের সেরা ইউনিটগুলোর মধ্যে রাবি শাখা অন্যতম। এই ইউনিটের দায়িত্ব পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি দায়িত্ব পেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেবায় নিয়োজিত থাকব। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এই ইউনিটকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলব। বিশেষ করে প্রত্যেকটা হলের সিট বাণিজ্য বন্ধ করব।
উপধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদ দূর্জয় বলেন, নেতৃত্ব সৃষ্টিকর্তার দান। আমাকে যদি যোগ্য মনে করে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে সামনে নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগকে জনপ্রিয় ও শিক্ষার্থীদের আস্থার জায়গা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিব সাধারণ শিক্ষার্থীদের। সবসময় ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে পাশে থাকব।
প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করে আসলেও আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আমি সবসময় রাবি ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছি। সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছি আমি। আমি নেতা হলে সিট বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বদেশে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ছাত্রলীগ যাতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করে সেটি নিয়ে কাজ করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপদে-আপদে পাশে থাকবো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখা হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো।
এর আগে ২০১৬ সালে গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তারা সেসময় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও সিট বাণিজ্যসহ ছাত্রলীগের নানা অপকর্ম বন্ধ করতে পারেনি। গত সাত বছরেও শাখা ছাত্রলীগকে তেমন সংগঠিত করতে পারেননি তারা।
এআর-০১/১৬/০৯ (ক্যাম্পাস ডেস্ক)