ঐতিহাসিক বদর দিবস

আজ বৃহস্পতিবার ১৭ রমযান, ঐতিহাসিক বদর দিবস। হিজরী দ্বিতীয় বর্ষের রমযান মাসের এই দিনে বদর প্রান্তরে ইসলামের প্রথম সম্মুখ যুদ্ধে মহান রাব্বুল আলামীন সরাসরি সাহায্য দানের মাধ্যমে মুসলমানদের বিজয় দান করেন। তাই এ দিবসকে ইয়াওমুল ফুরকান বা সত্য-মিথ্যার পার্থক্যের দিন বলা হয়। সত্যপথের অনুসারী অল্প সংখ্যক রোযাদার মুসলমানরা বিশাল অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত মিথ্যার অনুসারী কাফের মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে সত্য-মিথ্যার চির পার্থক্য সূচিত হয়ে যায়।

পবিত্র রমযান মাস, তাকওয়ার মাস, আত্ম শুদ্ধির মাস, আত্ম সংযমের মাস, কোরআনের মাস ও ধৈর্যের মাস। এ মাসের ১৭ তারিখে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুসলিম বাহিনীতে ৩১৩ জন সৈনিক, ৮৫ জন মুহাজির অবশিষ্টরা ছিলেন মদিনার আনসার। ঘোড়া দুটি এবং উট ছিল ৭০টি। এছাড়া মুসলিম সৈন্যদের রণকৌশল ও উল্লেখযোগ্য কোনো অস্ত্র ছিল না। অস্ত্রহীন বাহিনী নিয়ে বিশ্বনবী (স.) যুদ্ধে বের হলেন। এ সময় মদিনার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পণ করেন আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)-এর উপর। পরবর্তী সময়ে আবু রোবাবা ইবনে মানযার (রা.)কে মদিনার ব্যবস্থাপক হিসাবে প্রেরণ করেন। মুহাজেরদের পতাকা আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) এবং আনসারদের পতাকা সা’দ ইবনে মায়ায (রা.) বহন করেন। বিশ্বনবী (স.) সেনাবাহিনী নিয়ে মদিনা থেকে বের হয়ে ‘বিরে রাওহা’ নামক স্থানে অবস্থান করেন। তারপর, জুহাইনা গোত্রের বাশিশ ইবনে ওমর এবং আদী ইবনে আবু যাগবাকে কোরাইশদের খবর সংগ্রহের জন্য বদর প্রান্তে প্রেরণ করেন।

অপরদিকে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কোরাইশদের বাণিজ্য কাফেলা অনেক সতর্কতার সাথে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সে জানতো মক্কার রাস্তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চলতি পথে হঠাৎ করে আবু সুফিয়ানের কাছে খরব আসে, বিশ্বনবী (স.) মদিনায় কোরাইশদের কাফেলায় হামলা করবে। এ খবর শুনে আবু সুফিয়ান জামজাম ইবনে আমর গেফারীকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মক্কায় প্রেরণ করেন। গেফারী অতি দ্রুত মক্কায় পৌঁছে উটের সিটে দাঁড়িয়ে মক্কাবাসীকে যুদ্ধের জন্য উৎসাহিত করেন। কারণ, আবু সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলায় আক্রমণের প্রচুর আশঙ্কা রয়েছে। বাণিজ্য কাফেলার বিপদের খবর শুনে, চারিদিক থেকে লোকেরা ছুটে আসে। প্রত্যেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

কেবলমাত্র আবু লাহাব ব্যতীত। মক্কার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কেউ যুদ্ধ থেকে বাদ পড়েননি। তবে বদর যুদ্ধে আদি গোত্রের কেউ অংশগ্রহণ করেননি। মক্কাবাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল এক হাজার বা তেরশ জন। দুইশ ঘোড়া ও ছয়শ বর্ম। উটের সংখ্যা ছিল হিসাবের বাইরে। আবু জেহেল ওমর ইবনে হিশাম ছিল সেনা অধিনায়ক। সৈন্যবাহিনীতে বিশিষ্ট নয় জন ব্যক্তি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ছিল। তারা সাজ সাজ রব নিয়ে যুদ্ধে বের হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লোকদের নিজের মান দেখিয়ে আল্লাহর পথ থেকে বিরত করে গর্ব ভরে এগিয়ে চললো’। বিশ্বনবী (স.) বলেন, ‘ওরা বেরোলো নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র আল্লাহর প্রতি বিরক্ত এবং বিশ্ব নবীর প্রতি অসন্তুষ্টি নিয়ে।’ তারা উসফান এবং কুদাইদ প্রান্তর অতিক্রম করে যোহফা নামক জায়গায় পৌঁছে।

আবু সুফিয়ান বাণিজ্য কাফেলা সতর্ক অবস্থায় সামনের পথ চলছে। বদর প্রান্তের কাছাকাছি এসে মাজদি ইবনে আমরের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। মাজদি বললো, আমি তেমন কিছু দেখিনি। তবে দু’জন লোককে উটের উপর বসে থাকতে দেখেছি। আবু সুফিয়ান তাড়াতাড়ি উটের পায়খানা পরীক্ষা করে দেখেন, এটা মদিনার উটের পায়খানা। তিনি তাড়াতাড়ি বাণিজ্য কাফেলা রক্ষা করে নিরাপদে মক্কার দিকে অগ্রসর হলেন। অপরদিকে মক্কার সৈন্যরা নিরাশ হয়ে মক্কায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু আবু জেহেল বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

কারণ, তিনি কসম খেয়ে বললেন, খোদার কসম, আমি বদর প্রান্তে গিয়ে তিন দিন অবস্থান না করে ফিরে যাব না। এভাবে আবু জেহেলের কথায় মক্কার শত্রু বাহিনীর মাঝে অনৈক্য ও মতবিরোধ সৃষ্টি হলো।

বিশ্বনবী মজলিসে শূরার বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এ ব্যাপারে এরশাদ হচ্ছে- ‘এ রূপ যেমন তোমার প্রতিপালক তোমাকে ন্যায্যভাবে তোমার গৃহ থেকে বের করেছিলেন অথচ বিশ্বাসীদের একদল তা পছন্দ করেননি। সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পরও তা তোমার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়। মনে হচ্ছিল তারা যেন মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে আর তারা যেন তা প্রত্যক্ষ করছে’। হযরত আবু বকর ও ওমর (রা.) যুদ্ধের ব্যাপার চমৎকার মতামত প্রকাশ করলেন।

বিশ্বনবী (স.) মুহাজের ও আনসারদের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন। বিশ্বনবী ‘গারে ছুরের’ সাথী হযরত আবু বক্কর (রা.)কে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে জন্য গোপনে বের হলেন। তিনি দূর থেকে মক্কার সৈন্য বাহিনীর তাঁবু লক্ষ্য করেন। এমন সময় আরবের এক বৃদ্ধের সাথে দেখা হলো। তার সাথে বিশ্বনবীর অনেক কথা হলো। বদর যুদ্ধের পূর্ব রাতে মুষলধারে বৃষ্টি হলো। রহমতের এই বৃষ্টিতে মুসলমান সৈন্যদের জন্য খুবই উপকার হলো। জমিনের ধুলোবালিগুলো শক্ত হলো। অপরদিকে শত্রু বাহিনীর শক্ত মাটি পানির কারণে কাদায় পরিণত হয়ে তাদের বাধার কারণ হলো। মুসলিম সেনাবাহিনীর হাকাম ইবনে মুনযির একজন বিচক্ষণ সেনানায়ক।

তিনি বিশ্বনবী (স.)কে পরামর্শ দিলেন যে, আপনি এখানে আল্লাহর হুকুমে দাঁড়ালেন, না নিজস্ব কৌশলে। বিশ্বনবী বললেন, না। এটা আমার নিজস্ব কৌশল। হযরত হাকাম ইবনে মুনযির বললেন, না আমাদের সামনে একটু এগিয়ে যেতে হবে। জলাসয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যুদ্ধ শুরু হলে আমরা পানি পান করব। কোরাইশরা পানির জন্য ছটফট করবে। বিশ্বনবী (স.) তখন বললেন, তুমি যথাযথ পরামর্শ দিয়েছ।

বিশ্বনবী (স.) এবার সৈন্য বিন্যাস করে যুদ্ধ ক্ষেত্রে রওয়ানা দিলেন। বিশ্বনবী ইশারা করে বললেন, এখানে হবে অমুকের বধ্যভূমি, এখানে হবে অমুকের বধ্যভূমি। তখন মুসলিম সৈন্যদের অন্তরে ছিল আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ। শান্তি ও শৃঙ্খলার সাথে সময় অতিবাহিত করেন। এরশাদ হচ্ছে- ‘স্মরণ কর, তিনি তার পক্ষ থেকে তোমাদেরকে তন্দ্রাচ্ছন্ন করেছেন এবং আকাশ থেকে তোমাদের ওপর বারি বর্ষণ করেন, তা দ্বারা তোমাদের তিনি পবিত্র করবেন, তোমাদের থেকে শয়তানের কুমন্ত্রণা অবসান করবেন, তোমাদের হৃদয় দৃঢ় করবেন এবং তোমাদের পা স্থির রাখবেন’।

বদর যুদ্ধের পূর্বে উভয় পক্ষ নানা রকম প্রস্তুতি শেষে যুদ্ধ শুরু হলো। আসওয়াদ ইবনে আবুল আছাদের হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বদর যুদ্ধে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে উভয় দলের তিনজন বিশিষ্ট যোদ্ধা যুদ্ধের জন্য বেরিয়ে এলো। ওতবা, শায়বা এবং ওতবার পুত্র ওলীদ। তাদের মোকাবিলার জন্য আওফ, মোয়াওয়েয এবং আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহা নামক তিনজন আনসার সৈনিক অগ্রসর হলেন। প্রথম দু’জন হারেসের পুত্র। কোরাইশরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা আনসার। তখন কোরাইশ সৈন্যরা বলল, তোমাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই।

আমরা চাই আমাদের চাচাতো ভাইদের। তিন কোরাইশ চিৎকার দিয়ে বলল, হে মোহাম্মদ আমাদের কাছে আমাদের রক্ত সম্পর্কীয়দের পাঠাও। তখন বিশ্বনবী (স.) ওবায়দা ইবনে হারেস, হামযা এবং আলীকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। এবারো কোরাইশ যুবকরা তাদেরকে না চেনার ভান করে পরিচয় জানতে চান। এরা নিজেদের পরিচয় দিলেন। কোরাইশ যুবকরা বলল, তোমরাই আমাদের অভিজাত প্রতিদ্বন্দ্বী।

হযরত হামযা এবং হযরত আলী (রা.) নিজ নিজ প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে ফেলেন। কিন্তু ওবায়দা ইবনে হারেস এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওতবার মধ্যে আঘাত বিনিময় হলো। পরিশেষে হামযা ও আলী (রা.)-এর সাহায্যে ওতবা পরাজিত হলেন। ওবায়দার পা কেটে গিয়েছিল এবং কথা বন্ধ ছিল। যুদ্ধের পাঁচদিন পর তিনি শাহাদাত বরণ করেন। এরশাদ হচ্ছে- ‘এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে। কোরাইশরা একত্রে তিনজন বীর যোদ্ধাকে হারালো।

ক্রোধে দিশেহারা হয়ে এক সাথে মুসলমানদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। অথচ মুসলমানরা আল্লাহর সাহায্যের জন্য দোয়া করে এবং কাফেরদের হামলা মোকাবিলা করেন। মুসলিম সৈন্য আহাদ আহাদ শব্দ উচ্চারণ করে কাফেরদের উপর পাল্টা হামলায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি করেন। বদরের প্রান্তে বিশ্বনবী (স.) মুহাজেরদের কাতার সোজা করার পর আল্লাহর কাছে দোয়া করেন’। তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি আমার সাথে যে ওয়াদা করেছ তা পূরণ করো। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার প্রতিশ্রুত সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।

হে আল্লাহ! যদি আজ মুসলমানদের এই দল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তবে দুনিয়ায় এবাদত করার মতো কেউ থাকবে না। হে আল্লাহ! তুমি এটা চাও যে, আজকের পর কখনোই তোমার এবাদত করা হবে না’। আবু বকর (রা.) বিশ্বনবী (স.) কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল এবার আপনি থামুন। এ দিকে আল্লাহ এরশাদ করেন- ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। সুতরাং তোমরা মোমেনদেরকে অবিচলিত রাখো, যারা কুফরী করে, আমি তাদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করবো সুতরাং তাদের স্কন্ধ ও সর্বাঙ্গে আঘাত করো’। এ দিকে আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবীর প্রতি ওহী পাঠালেন, ‘আমি তোমাদের সাহায্য করবো, এক হাজার ফেরেস্তা দ্বারা, যারা একের পর এক আসবে’।

বদর যুদ্ধে আল্লাহ ফেরেস্তা অবতরণ করেন। যখন জিব্রাইল (আ.) এলেন, বিশ্বনবী মাথা তুলে বলেন, আবু বকর খুশি হও জিব্রাইল (আ.) এসেছে। ইবনে ইসহাকের বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, আবু বকর খুশি হও, তোমাদের কাছে আল্লাহর সাহায্য এসে পৌঁছেছে। জিব্রাইল ঘোড়ার লাগাম ধরে ঘোড়ার আগে আগে আসছেন। ধুলোবালি উড়ছে। বিশ্বনবী (স.) বর্ম পরিহিত অবস্থায় উদ্দীপনাময় ভঙ্গিতে সামনে অগ্রসর হতে হতে বললেন, ‘এই দল তো শীঘ্রই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে’। আল্লাহ আবার বলেন, ‘এবং তখন তুমি নিক্ষেপ করোনি, বরং আল্লাহ তাআলাই নিক্ষেপ করে ছিলেন’।

ইবলিশ শয়তান ছোরকা ইবনে মালেক ইবনে জাশআম মুদলিজীর আকৃতি নিয়ে বদরের যুদ্ধে আসে। যুদ্ধের ময়দানে পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে ফেরেস্তাদের দেখে ইবলিশ শয়তান পলায়ন করে। বদর যুদ্ধে আবু জেহেলসহ অনেক কাফের বীর যোদ্ধা নিহত হয়। যুদ্ধে কাফেরদের ৭০ জন নিহত এবং ৭০ জন বন্দি হয়।

বিশ্বনবী (স.) সামান্যসংখ্যক মুসলিম সৈন্য নিয়ে কাফেরদের বিশাল বাহিনীর সাথে লড়াই করে বদরের যুদ্ধে বিজয় লাভ করেন। কাফের বাহিনী চরমভাবে পরাজয় বরণ করে। মুসলমানদের বিজয়ের কারণ হলো আল্লাহর প্রতি ইমান, ভরসা, তাকওয়া, আনুগত্য, বুকে সাহস ও শক্তি এবং ধৈর্যই ছিল মূল। আমরা পবিত্র রমযান মাসে তাকওয়া, আত্মশুদ্ধি, আত্মসংযম, ধৈর্য এবং গুনাহ মাফের জন্য মহৎ গুণাবলী যদি অর্জন করতে পারি তাহলে বদরের যুদ্ধের মতো সব কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারব।

ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ খুবই সোজা হবে। বদর যুদ্ধের মাধ্যমে সত্য মিথ্যার পার্থক্য সুনিশ্চিত হয়েছে। এটি ছিল একটি অসম যুদ্ধ। যুদ্ধে অল্পসংখ্যক সৈন্যবাহিনী বেশি সংখ্যক সৈন্যবাহিনীর ওপর বিজয় অর্জন করেছিল। সূরা আলে ইমরানের ১৩নং আয়াতে আল্লাহ উভয় দলের পরিচয় তুলে ধরে বলেছেন- “এদের মধ্যকার একটি দল আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করে আর অপর দল ছিল কাফির।

এসএইচ-০১/২৩/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)