শুরু হচ্ছে নাজাতের দশক

রোজা রাখলে যেভাবে

আজ রোববার বিশতম রমযান। মাগফিরাতের শেষ দিন। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে নাজাতের দশক। শুরু হলো ইতিক্বাফে বসার পালা। প্রত্যেক এলাকার মসজিদে কিছু সংখ্যক লোক ইতিক্বাফে বসতে হয়।

এই ইতিক্বাফের মাধ্যমে মোমিন বান্দাগণ লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করবেন। হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রজনী হলো লাইলাতুল ক্বদর। প্রত্যেকেরই এ রাত তালাশ করা উচিত।

হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন রমযান মাসের শেষ দশক শুরু হলেই নবী করীম (সাঃ) তার কোমর শক্ত করে বেধে নিতেন। এ সময়ের রাতগুলোতে তিনি জাগ্রত থাকতেন এবং ঘরের লোকদেরকে সজাগ করতেন।

হযরত আয়েশা (রাঃ) এর বর্নণায় বলা হয়েছে, রাসূল (সাঃ) রমযান মাসের শেষ দশকে ইবাদত বন্দেগীর কাজে এতই কষ্ট স্বীকার করেছেন, যা অন্যান্য সময় করতেন না।

আর হযরত যয়নব বিনতে সালমার বর্ণনায় এ কথাটি আরো বলিষ্ঠ ভাষায় বণিত হয়েছে, রমযান মাসের শেষ দশকে তার ঘরের লোকদের মধ্যে রাত জেগে ইবাদত করতে পারে এমন কাকেও ঘুমোতে দিতেন না এবং প্রত্যেককেই জেগে থেকে ইবাদত করার জন্য প্রস্তুত করতেন।

ক্বদর রাত্রি সম্পর্কে হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা রমযান মাসের শেষ দশকের বেজোড় তারিখে কদর রাত্রি সন্ধান কর (বুখারী)। ক্বদর রাত্রি বের করার জন্য হাদীসে স্পষ্ট করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর ক্বদর রাত্রিটি রমযানের শেষ দশকের বেজোড় যে কোন দিন হতে পারে।

তাই মোমিন বান্দাগন ক্বদর রাত্রির ফজিলত পাওয়ার জন্য ইতিক্বাফ করে। প্রত্যেকেরই ক্বদর রাত্রি তালাশ করা প্রয়োজন এবং এ রাত্রির বরকত গ্রহণ করার জন্য ইবাদাত বন্দেগী করা প্রয়োজন।

এসএইচ-০১/২৬/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)