দিনে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অতিষ্ট জনজীবন

ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে পড়েছেন রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বাসিন্দারা। গত কয়েক মাস ধরে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বিভাগবাসীর জনজীবন। দিনে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন সাধারণ ব্যাপার। তবে গত দু’সপ্তাহ ধরে এর মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে করে কলকারখানায়ও উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে।

নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সাড়ে ৮শ’ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ২শ’ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রসহ এই অঞ্চলের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎ তরঙ্গ স্লো হয়ে গেছে। এ কারণে লাইন বারবার ট্রিপ করছে। একই কারণে ফিউজ ঠিক করতে গিয়েও সময় লাগছে। তখন পুরো ফিডারের গ্রাহকরা অন্ধকারে থাকছে।

ইদানীং লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ায় রংপুরের মানুষ বলতে শুরু করেছে, ‘এখানে বিদ্যুৎ থাকে না, মাঝে মাঝে আসে।’

গত দুই সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং-এর মাত্রা বেড়েছে। দিনে ১০-১২ বার করে যাওয়া-আসা করছে। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে, কোথাও কোথাও ২ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকছে। এমনিতেই ভ্যাপসা গরম, তার ওপর বিদ্যুতের এমন যাওয়া-আসায় বিরক্তি সৃষ্টি হচ্ছে জনমনে।

রংপুর নগরীর স্টেশন রোডের এক নারী জানান, বিদ্যুৎ যাওয়া মাত্রই গরমে কোলের শিশু কেঁদে উঠছে। ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা করতে পারছে না।

ঘনঘন লোডশেডিং হওয়ায় কলকারখানায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। ওয়ার্কিং আওয়ারে শ্রমিকদের ৩-৪ ঘণ্টা শ্রমিকরা বেকার বসে থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি নেসকো বলছে, বড়পুকুরিয়াসহ এই অঞ্চলের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। চাহিদার সাড়ে ৮শ’ মেগাওয়াটের মধ্যে ২শ’ মেগাওয়াট কম পাওয়া যাচ্ছে।

নেসকোর রংপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন সরকার বলন, বিদ্যুতের সঞ্চালন গতি নির্ভর করে স্থানীয় উৎপাদনকেন্দ্রগুলোর ওপর। এমনিতেই এই অঞ্চলে উৎপাদনকেন্দ্র কম। যে কয়টি আছে, সেগুলো কোনো কারণে বন্ধ হলে তার প্রভাব পড়ছে পুরো উত্তরাঞ্চলে।

ঠাকুরগাঁও ও সৈয়দপুরে নতুন দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শেষ হলে পরিস্থিতি ভালো হবে বলে জানান তিনি।

এসএইচ-২৩/১৮/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)