স্ত্রীর লাশ ঘরে রেখে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী

রংপুরের পীরগাছায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মাঈনুদ্দিন মিয়া। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম আয়শা বেগম (৩৬)। আয়শা ওই গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে। মাঈনুদ্দিন ঠাকুরগাঁও জেলার ভেলাজান ইউপির বাঁশ গাড়া গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে। মাইনুদ্দিন শ্বশুর বাড়ির পাশে নিজে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করতেন। তাদের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। মাইনুদ্দিন আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করলেও কিছুদিন থেকে নিজ এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ( সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, নিহত আয়শা বেগমের সঙ্গে পীরগাছা উপজেলার মমিন বাজার জগজীবন গ্রামের ফজল হক মেম্বারের ছেলে ফারুক হোসেনের (২৬) সাথে দুবছর ধরে আয়শা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। এর আগে একবার গ্রামের লোকজন ওই দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছিল।

এ ঘটনার পর মাইনুদ্দিন তার স্ত্রীকে ভালো করার চেষ্টা করেও কোনো ফল পাননি। একপর্যায়ে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান মাইনুদ্দিন। গত ২৯ মে তারা গ্রামের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফারুকের সঙ্গে স্ত্রীর মুঠোফোনে কথা হয়।

বিষয়টি জানার পর রাত তিনটার দিকে শাবল ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আয়শাকে হত্যা করেন মাইনুদ্দিন। পরে শুক্রবার সকালে পীরগাছা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাইনুদ্দিন পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম পলাশ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এসএইচ-০৭/০৩/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)