হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যান স্বামী

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আজেকা বেগম (২৩) নামের এক নারীর মরদেহ রেখে পালিয়েছেন স্বামীসহ ও স্বজনরা।

সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে ওই মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজেকা বেগম উপজেলার হয়বৎখাঁ গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। তিনি একই ইউনিয়নের আজমখাঁ গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সায়েদ সাব্বির আহমদ জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে অটোরিকশায় করে কয়েকজন এক নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। কিন্তু ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বুঝতে পারেন ওই নারী হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। স্বজনরা হাসপাতালে ওই নারীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতাল থেকে এ তথ্য পুলিশকে জানানো হয়।

টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, তিন মাস আগে ওই নারীর সঙ্গে আজমখাঁ গ্রামের জিয়ারুলের বিয়ে হয়। পরিবারের লোকজন মেনে না নেওয়ায় জিয়ারুল তাকে নিয়ে কুড়িগ্রামের রাজাহাটে ভগ্নীপতি আহম্মদ আলীর বাড়িতে থাকতেন। পারিবারিক কলহের জেরে সন্ধ্যায় ওই নারী গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে রেখে স্বজনরা পালিয়ে যান।

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মরদেহ রেখে স্বামী-স্বজনরা পালিয়ে যান। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে অনুসন্ধানের পর ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। এ ঘটনা একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার বলেন, ওই নারীর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যায়নি। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার জানা যাবে।

এসএইচ-১১/১৩/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)