আগস্টে বাজারে আসবে নতুন জাতের আম

আগস্টে বাজারে আসছে রংপুরের নতুন জাতের আম বারি-৮। এর ফলে মধু মাস জৈষ্ঠেই শুধু নয়, আষাঢ়-শ্রাবণ পর্যন্ত গ্রহণ করা যাবে মিষ্টি আমের স্বাদ। হাঁড়িভাঙ্গা আমের এলাকায় নতুন জাতের এ আমের চাষ সম্প্রসারণে কাজ করছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।

বিখ্যাত হাঁড়িভাঙ্গা আমের এলাকা রংপুরের মিঠাপুকুরের রথিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে আহসান হাবিব হুমায়ূনের সাড়ে ৩ একরের এ বাগানে দ্বিতীয়বারের মতো ফলেছে বারী-৮ জাতের আম। আমের মৌসুম শেষ, তবু এ বাগানে এখনও দুলছে কাঁচা আম। এগুলো জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে পাকতে শুরু করবে। বাজারে পাওয়া যাবে পুরো আগস্টজুড়ে। এবার শুধু আম থেকেই ১২ লাখ টাকা আয়ের আশা করছেন তারা। চারাগাছ থেকেও হচ্ছে আয়।

আম চাষি আব্দুস সামাদ বলেন, ১০০ গাছ আমি ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। তাছাড়া আরও দেড়শ’ গাছ রয়েছে। যেগুলো পর্যায়ক্রমে বিক্রি করা হবে।

আম চাষি আহসান হাবিব হুমায়ূন বলেন, গেল বছর তিনি ৪ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন। এ বছর ১২ লাখ টাকার মতো আম বিক্রি করবেন।

বৈশিষ্টগত কারণে এ আমের সংরক্ষণ, পরিবহণ, বাজারজাত সহজ। আমচাষিরা জানান, হাঁড়িভাঙ্গা আমাদের মৌসুম যখন ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শেষ হয়ে যায়, তখন এই জাতের মৌসুম শুরু হয়। সে সময় থেকে আরও ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত এ আমটি রাখা সম্ভব। এ আম হাঁড়িভাঙ্গা আমের তুলনায় মিষ্টি। হাঁড়িভাঙ্গা আম পাকলে ভিতরে গলে যায়। এ আম পাকার পরও ৫ থেকে ৭ দিন রেখেও খাওয়া যাবে।

রংপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন অর রশিদ বলেন, যখন হাঁড়িভাঙ্গা আমের মৌসুম শেষ হয়ে যাবে, তখন কৃষকরা এ আম বিক্রি করে তুলনামূলক বেশি দাম পাবেন।

হেক্টরপ্রতি ২৫ মেট্রিক টনের বেশি ফলন বারি-৮ আম নানাভাবেই লাভজনক। এর চাষ সম্প্রসারিত হলে দেশে আমের মৌসুম দুইমাস বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করেন রংপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশীষ কুমার সাহা।

এছাড়া পুষ্টিকর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজেদের উদ্ভাবিত এ আমের চাষ সম্প্রসারণে বীজ সরবরাহ, চাষ পদ্ধতি শেখাতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণসহ নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছে কৃষি গবেষণা ইনসটিটিউট।

এসএইচ-২৪/২৬/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)