যশোরের চৌগাছায় অফিস কক্ষে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাসের উদ্দীন (৫৫) নামের এক প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে স্কুল কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তাসের উদ্দীন উপজেলার সুখপুকুরিয়ার দক্ষিণ বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষককে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিফাত খান রাজিব বলেন, ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা একটি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হবে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ও মা জানিয়েছেন, মেয়েটি চলমান চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সোমবার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা চলছিল। এসময় একটি প্রশ্ন বুঝতে না পারায় মেয়েটি প্রধান শিক্ষকের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের কক্ষে কেউ না থাকার সুযোগে তিনি ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতহানি করেন।
ওই ছাত্রী বাড়ি এসে বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়। পরে স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হলে ঘটনার পরের দিন ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক তাসের উদ্দিনকে এলাকাবাসী অবরুদ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফুল আলম পুলিশ পাঠিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে। পরে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে থানায় আটক রাখা হয়।
প্রধান শিক্ষক তাসের উদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের কমিটি ও একটি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কোনো সুযোগ না পেয়ে একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাকে অপদস্থ করছে প্রতিপক্ষরা।
তবে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমি কোনো নেতৃত্ব দেইনি। আমার সাথে তার কোনো দ্বন্দ্বও নেই। এলাকার উত্তেজিত জনগণই প্রধান শিক্ষককে অফিস রুমে অবরুদ্ধ করলে বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে জানাই।
বিএ-২৩/০৮-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)