পাওনা টাকা চাওয়ায় খুন!

যশোরের শার্শায় পাওনা টাকা চাওয়ায় পাওনাদারকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামে। বৃহস্পতিবার ভোরে কাজীরবেড় গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে পাওনাদার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩২) নামে এক সিএন্ডএফ কর্মচারীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সিএন্ডএফ কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম বেনাপোলের নারায়ণপুর গ্রামের আবদুর জব্বার তরফদারের ছেলে এবং সেজুতি এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, জাহিদুল ইসলাম বিদেশ যাওয়ার জন্য চার লাখ টাকা দেন এলাকার ঝড়ু দালালের স্ত্রী বিউটি খাতুনকে। পরে বিদেশ না পাঠিয়ে টাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন বিউটি। এ ঘটনায় সর্বশেষ বুধবার রাতে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নেন জাহিদকে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিউটি যশোর থেকে চারজন ভাড়াটে খুনি আনেন।

চিৎকার-চেচামেচি যাতে বাইরে থেকে না শোনা যায়, এ জন্য সাউন্ডবক্সে গান ছেড়ে দেন। পরে জাহিদকে বাথরুমে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে দেন। জাহিদের বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিউটির বাসায় এসে জানতে চাইলে লাইট অফ করে দিয়ে বলেন বাড়িতে সে আসেনি।

ঘটনাটি সন্দেহ হলে শার্শা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। থানা পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে তাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। এ খুনের ঘটনায় শার্শা থানা পুলিশ জড়িত থাকার অপরাধে পাঁচজনকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন, বিউটি খাতুন (৪৭), সুমী খাতুন (২৯), রহিমা বেগম (৬৫), ফেরদৌসী (৩৭) ও আল-আমিন (১৮)। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ খুনের আলামত উদ্ধার করেছে।

শার্শা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মশিউর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, তারা ভাড়াটে কিলার দ্বারা সিএন্ডএফ কর্মচারী জাহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এসএইচ-১২/০৬/১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)