ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে লামিয়া নামে ৯ বছরের এক শিশু তার স্বজনদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েক বছর ধরে চলা এ নির্যাতনের অভিযোগ খোদ লামিয়ার আপন চাচা-চাচি ও দুই চাচাতো বোনের বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগে শুক্রবার ভোরে জেলা শহরের মেড্ডা এলাকার রমজান মিয়ার স্ত্রী নেহার সুলতানা (৫০), তার মেয়ে রুমানা আক্তার (২২) ও সুমাইয়া আক্তারকে (১৬) আটক করেছে পুলিশ। তবে রমজান মিয়া পালিয়ে গেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলা শহরের গোকর্ণঘাট এলাকার কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে লামিয়া। দুই বছর বয়সে লামিয়ার মা ও চার বছর বয়সে তার বাবা মারা যায়। তখন এতিম লামিয়াকে দেখাশোনা করার কথা বলে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে চাচা রমজান মিয়া।
তখন থেকেই বাড়ির সব ধরনের কাজকর্ম করানো হতো লামিয়াকে দিয়ে। কাজে সামান্য ভুল হলেই লামিয়ার ওপর চলত শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতনের সেই চিত্র আবার নিজেদের মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখা হতো। পরে লামিয়ার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
বিষয়টি প্রতিবেশীদের নজরে আসার পর পুলিশকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সদর মডেল থানা পুলিশ লামিয়াকে উদ্ধার করতে গেলে রমজানসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার ভোরে রমজান ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে আসার খবর পেয়ে জেলা গোয়োন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক দুটি দল গিয়ে রমজানের স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে আটক করে।
আটকদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোনে লামিয়াকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, নির্যাতনের শিকার লামিয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার প্রকৃত কোনো অভিভাবক না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
https://youtu.be/BKrEGg6wbjg
বিএ-১১/০৭-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)