নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বিএনপি প্রার্থী ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের পূর্ব ঘোষিত পথসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
আহতের মধ্যে বিএনপির ৩০ জন এবং আওয়ামী লীগের ১০ জন রয়েছে বলে জানা গেছে। হামলার সময় নির্বাচনী অফিস ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কবিরহাট বাজারের বিভিন্ন স্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে সকালে কবিরহাট বাজার জিরো পয়েন্টে নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পথসভা করার কথা ছিল। সকাল থেকে ওই স্থানে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে একত্রিত হতে থাকে।
বেলা ১১টার দিকে ঘোষবাগ থেকে বিএনপির মিছিল আসার সময় কবিরহাট দক্ষিণ বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্ট ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এই সংঘর্ষ পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে সংঘর্ষকারীরা।
কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, আ’লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে অর্তকিত হামলা চালায়। পরবর্তীতে হামলাকারীরা তার বাড়ী, বিএনপির নির্বাচনী অফিস ও বিভিন্ন দোকানে ভাঙচুর করে। আ’লীগের হামলায় কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন, জাসাসের সভাপতি আবদুস সাত্তার, নরোত্তমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, কবিরহাট পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন ও প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোমিত ফয়সল’সহ অন্তত ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সকালে পথসভায় আসার পথে উপজেলার ভূঁইয়ারহাট, শাহজীরহাট, কাচারিরহাট, কালামুন্সী বাজার, ব্যাপারীহাট’সহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মিছিলেও হামলা করা হয়।
এদিকে, বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, সকালে কবিরহাট দক্ষিণ বাজারের নবারুণ একাডেমির সামনে বিএনপির মিছিল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল’সহ আমাদের দলের নেতাকর্মীদের উপর অর্তকিত হামলা চালানো হয়।
বিএনপির হামলায় জলিল, ইসমাইল’সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইসমাইলকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সকল ধরনের সহিংসতা এড়াতে বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএ-০৩/১১-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)