নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে সুমন মিয়া নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মুড়াপাড়া নগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন মিয়া মুড়াপাড়া নগড় এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মুড়াপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধের কারণে সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে।
দুই বছর আগে সুমন মিয়া মাদক ব্যবসাসহ অপরাধ ছেড়ে দিয়ে নিজ এলাকায় হাঁস-মুরগি ও মাছের খামারের ব্যবসা শুরু করে। এর আগে, বেশ কয়েক বছর ধরে মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুড়াপাড়া নগড় এলাকার সজল, তুষার, সাদ্দাম, রবিন ও কবিরের সঙ্গে সুমন মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল।
ওই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সজল, তুষার, সাদ্দাম, রবিন, কবির ও বাসুসহ তাদের লোকজন হাঁস-মুরগির খামারের সামনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুমনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সুমনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সুমনের ফুফু আছমা বেগম বলেন, সুমনের ওপর হামলার সময় আমার ছেলে ফালান মিয়া বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় ফালান দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়।
এ ঘটনার পর মুড়াপাড়াসহ আশ-পাশের এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে, সুমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জহিরুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম মুড়াপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে।
নিহত সুমন মিয়ার মা নার্গিস বেগম বলেন, আমার ছেলে সুমন বর্তমানে সৎপথে উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছিল। সন্ত্রাসীরা সুমনকে হত্যা করে আমাকে, তার স্ত্রী সোহানা ও ছেলে আজমির হীলাকে এতিম করে দিয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের পর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হক বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিএ-২৩/১৩-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)