একই রশিতে ঝুলে প্রেমের ইতি!

মনির ও কল্পনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে দুজনেরই ভিন্ন জায়গায় বিয়ে হয়। ভিন্ন দুটি সংসার ছিল তাঁদের। এতে সুখের বদলে প্রেম নিয়ে আসে বিড়ম্বনা। বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগাছ থেকে একই রশিতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায়। রাত ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম পিরিজপুর গ্রামের একটি জলপাইগাছ থেকে একই রশিতে গলা বাঁধা অবস্থায় তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ বলছে, এটি আত্মহত্যা হতে পারে।

মনির হোসেন (২২) উপজেলার কাকিলাকুড়ার পশ্চিম পিরিজপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। কল্পনা বেগম (২০) একই গ্রামের আবদুল করিমের মেয়ে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পরকীয়ার জের ধরে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন।

কাকিলাকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল্লাহ তালুকদার শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিয়ের আগে থেকেই মনির ও কল্পনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি শুনেছেন। পরে তাঁদের অন্যত্র বিয়ের হয়। বিয়ে হলেও কল্পনা বাবার বাড়িতে থাকতেন। মনির ছিল তাঁর (কল্পনা) প্রতিবেশী। ফলে বিয়ের পরেও তাঁদের সম্পর্ক ছিল। এই জটিল পরিস্থিতি এড়াতে দুজন আত্মহত্যা করেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান মনে করছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে শ্রীবরদী উপজেলার গড়খোলা গ্রামের তারেকের সঙ্গে কল্পনা বেগমের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই কল্পনা তাঁর বাবার পশ্চিম পিরিজপুর গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন। প্রতিবেশী মনিরের সঙ্গে কল্পনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মনির হোসেনও বিবাহিত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় মনির ও কল্পনা একই গ্রামের খাজলের বাড়ির সামনের একটি জলপাই গাছের ডালে একই রশিতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে শ্রীবরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

কল্পনার বাবা আবদুল করিম মুঠোফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন। সংবাদ পেয়ে তিনি বাড়িতে এসেছেন। তবে মেয়ের মৃত্যুর জন্য তিনি কাউকে দায়ী করেননি।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়ার জের ধরে তাঁরা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

বিএ-০৭/১৮-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক, তথ্যসূত্র: প্রথম আলো)