আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে খোকন গুলিবিদ্ধ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

শনিবার বিকেলে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানিয়েছেন, ‘মাহবুব উদ্দিন খোকনের পিঠে স্প্লিন্টার লেগেছে। স্প্লিন্টারগুলো শর্টগানের। বাকি দুই জনের পায়ে ও মাথায় স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নোয়াখালী-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম ঢাকা থেকে চাষীরহাটে পৌঁছলে দলীয় নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রা সহকারে তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।

বিকেলে সোনাইমুড়ী আনোয়ারা কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় পথসভা করে বিএনপি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন। পথসভা চলাকালে দুর্বৃত্তরা তাতে হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বাজারে ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল হক কামাল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে পথসভার পিছন থেকে হামলা ও গুলি চালায়। এসময় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া দলের অন্তত ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিকেল দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন তারা। এসময় তারা সোনাইমুড়ী বাজারে পৌঁছলে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ৬ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে জখম ও তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।

এসএইচ-২০/১৫/১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)