মালয়েশিয়ায় পাচারকালে ১৫ রোহিঙ্গা আটক

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারকালে ১৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আট পুরুষ ও সাত নারী রয়েছেন।

সোমবার ভোরে টেকনাফের বাহারছরা ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম এ রোহিঙ্গাদের আটক করে। টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক রোহিঙ্গারা হলেন- উখিয়া উপজেলার বালুখালী ক্যাম্পের হাফিজুর রহমান, কেফায়েত উল্লাহ, মো. সোহেল, মো. আলম, সেতেরা বেগম, নুর কলিমা, কুতুপালং ক্যাম্পের ইমাম হোসেন, আনোয়ারা বেগম, থাইংখালী ক্যাম্পের শাহ নবী, জাহেদা বেগম, রেহেনা বেগম, মো. সালাম, উখিয়ার জামতলী ক্যাম্পের পারভীন আকতার ও রাবেয়া বেগম।

পুলিশ জানায়, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সক্রিয় রয়েছে পাচারকারী ও রোহিঙ্গা দালাল চক্র। এ দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে ট্রলারে মালয়েশিয়া যেতে বাহারছরা ইউনিয়রের শামলাপুরে অবস্থান নেয় রোহিঙ্গারা।

খবর পেয়ে দালাল চক্রের সদস্যদের ধরতে এবং মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন শামলাপুর থেকে ১৫ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। তবে দালাল চক্রের কাউকে আটক করা যায়নি।

টেকনাফ বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, উদ্ধার রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া যেতে শামলাপুর এলাকায় জমায়েত হয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দালালদের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে এখানে আসে বলে জানায়। আটককৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, উদ্ধার ১৫ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত ছিল। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আটক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে পাচারকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো রোহিঙ্গা বা স্থানীয় নাগরিক যাতে দালালদের মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে না পারে সেজন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ।

বিএ-১৭/০৭-০১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)