চট্রগ্রামে শহীদদের গণকবরে দোকানপাট!

চট্রগ্রামের হাটহাজারীতে শহীদদের গণকবর দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করছিলেন এক প্রবাসী।

উপজেলার নাজিরহাট পুরাতন বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শহীদদের গণকবরটির ওপর ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উচ্ছেদ অভিযান চালান।

সূত্র জানায়, নাজিরহাট পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের ২০ গজ দূরে নতুন রাস্তা থেকে উত্তরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে পূর্ব পাশে গণকবরটির একটি অংশ দখল করে ৪-৫টি সেমিপাকা দোকান তৈরি করছেন মোজাম্মেল নামে এক প্রবাসী।

চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে রাতারাতি ভরাট করে সেমিপাকা দোকান নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন সেই ব্যক্তি। যার আনুমানিক মূল্য অর্ধকোটি টাকা হবে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

গত কয়েকদিন আগে উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. নুরুল আলম নাজিরহাট পুরাতন বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শহীদের গণকবরটি দখল করে রাতারাতি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি উপস্থাপন করে।

এ বিষয়টি আমলে নিয়ে শুক্রবার ইউএনও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. নুরুল আলম, ডেপুটি কমান্ডার মো. হোসেন মাস্টার, সদস্য আবু তালেবসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা, মডেল থানা পুলিশ, উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনারের সার্ভেয়ার, কাটিরহাট ভূমি অফিসের কর্মকর্তা প্রমুখ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহল আমিন জানান, একটি চক্র শহীদদের গণকবরটির একটি অংশ দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছিল। অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে।

একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী এসব গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

বিএ-১৩/১১-০১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)