কাঠের তৈরি সেতু এখন ‘মরণফাঁদ’

ময়মনসিংহ গফরগাঁও উপজেলার সান্দিয়াইন গ্রামের মাঝে শীলা নদীর উপর নির্মিত কাঠের সেতুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি দিয়ে লোকজন চলাচল করছেন।

দেখা গেছে, সেতুটির বিভিন্ন অংশের কাঠ পঁচে ভেঙে গেছে। ব্শে অনেকগুলি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। নড়বড়ে কয়েকটি খুঁটির উপর দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। মানুষ উঠলেই দুলতে থাকে। ভগ্নপ্রায় সেতুটি যেকোনদিন ভেঙে পড়তে পারে, ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এই অবস্থায়ই সান্দিয়াইন, ছয়ানি, রসুলপুরসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৬/৭ হাজার মানুষকে সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে হয়।

স্থানীয়রা জানান, এই এলাকায় কয়েকটি স্কুল ও মাদ্রাসা আছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদেরও এই সেতু দিয়েই চলাচল করতে হয়।

রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, শত বছর ধরে এই এলাকার মানুষ বাঁশের সাঁকো দিয়ে শীলা নদী পার হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে লোকাল গর্ভন্যান্স সার্পোট প্রজেক্টের আওতায় রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ এই কাঠের সেতুটি নির্মাণ করেছিলো। এখন এই সেতুর অবস্থাও খারাপ।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক (৪০), হাবিবুর রহমান (৫৫) বলেন, বছরের পর বছর বাঁশের সাঁকো ও ঝুকিঁপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে আমরা শীলা নদী পারাপার করছি। কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের দাবি এখানে জরুরী ভিত্তিতে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক।

রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, এই কাঠের সেতুর পুরোটাই ভেঙে পড়ছে। এর উপর দিয়ে চলাচল মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য এলজিইডি বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

গফরগাঁও উপজেলা প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

বিএ-১০/১৫-০১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)