গাছের সঙ্গে শিকলে বেঁধে নির্যাতন

গাছের সঙ্গে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অবশেষে ৩ দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ। কুমিল্লার দাউদকান্দির উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের সুন্দলপুর গ্রামে (পূর্বপাড়ায়) এ ঘটনা ঘটে। জমি-সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সৎ ভাই এবং বাবা মিলে গাছের সঙ্গে শিকলে বেঁধে শাহীন নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করে গত বুধবার।

নির্যাতনের এ ভিডিও এবং ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে শাহীনের মামা মনসুর আলী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাহীনের বাবা সেলিম দ্বিতীয় বিয়ে করার পর বেশ কিছুদিন থেকে শাহীনের সঙ্গে বসত বাড়ি ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বুধবার বাবা ও সৎ ভাইয়ের ভাড়া করা একদল দুর্বৃত্ত শাহীনকে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তার কাছে থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে একালাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহীনকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

সুন্দলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ আলম ফোনে জানান, শাহীন তার বাবা সেলিমের প্রথম সংসারের ছেলে। সেলিম মিয়া তিনটি বিয়ে করেছেন। শাহীন সরল প্রকৃতির ছেলে। সে মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। গত বুধবার তার বাবা সেলিম ও তার সৎ ভাই মিলে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তাকে গাছের সঙ্গে শিকলে বেঁধে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ শুনেছি। আমি পূর্বে একাধিকবার তাদের জমি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বসে সমস্যা সমাধান করেছি।

শাহীনের বাবা সেলিমের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, শনিবার দাউদকান্দি মডেল থানায় শাহীনের মামা বাদী হয়ে তার বাবা সেলিম, শিরিন আক্তার, সাইফুল, ফাতেমা বেগম, জান্নাত, আনোয়ার হোসেন, রাজ্জাক, শরীফ, ও আলমগীর হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

বিএ-২১/১০-০২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)