মার্কিন রাষ্ট্রদূত রসগোল্লাও খেলেন, আবার নিয়েও গেলেন

খুলনার ইন্দ্রমোহন সুইটসের নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। এখানকার ৫ ধরণের সুস্বাদু ও লোভনীয় মিষ্টির জুড়ি মেলা ভার। এটি খুলনার অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী দোকান। যেখানে বংশ পরম্পরায় ১৩০ বছর ধরে কলার পাতায় পরিবেশেন করা হয় মিষ্টি। যারা মিষ্টি তেমন পছন্দ করেন না, তারাও অনায়াসে খেয়ে ফেলতে পারবেন ৪-৫টি মিষ্টি।

মঙ্গলবার সদলবলে খুলনা সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। সেখানে নিজে চেখে দেখলেন ঐতিহ্যবাহী এ দোকানের রসগোল্লা ও পানতোয়া। শুধু দোকানে বসে খাওয়া নয়, এই মিষ্টি তাকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে রসগোল্লা ও পানতোয়া কিনে সঙ্গে নিয়েও গেছেন তিনি। মিলারের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রীও। তিনিও এই মিষ্টির তারিফ করেছেন খুব।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রে দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট আপলোড করা হয় রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি)। সেখানে বলা হয়েছে, আপনার কি জানেন ইন্দ্রমোহন খুলনার সবচেয়ে পুরনো মিষ্টির দোকান? রাষ্ট্রদূত মিলার খুলনা সফরে গিয়ে সেই দোকানে গিয়েছেন, যেটি ১৮৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত। রাষ্ট্রদূত মিষ্টিও খান। পোস্টটির শেষে একটি প্রশ্নও করা হয়, বাংলাদেশের কোন খাবার আপনার পছন্দ? পোস্টটিতে আশিক রুশদির তোলা বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।

ছবিতে দেখা যায়, রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ইন্দ্রমোহন সুইটসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। ভেতরে কাঠের চেয়ারে বসে হাত দিয়ে মিষ্টি খাচ্ছেন। এমনকি রান্না ঘরে গিয়ে দেখছেন মিষ্টি তৈরির প্রক্রিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের এ পোস্ট দেখে অনেকেই রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। শুমাইয়া করিম ঐশী নামের একজন লিখেছেন, আমাদের প্রিয় খুলনা শহরে গিয়ে আমাদের প্রিয় দোকানে মিষ্টি খেতে গিয়েছেন। খুশি হয়েছি, স্বাগতম আমাদের খুলনা শহরে।

জানা গেছে, ইন্দ্রমোহন দেব ১৮৯০ সালে এ দোকানটি চালু করেন। খুলনা শহরের বড় বাজারে অবস্থিত ইন্দ্রমোহন সুইটস নামের দোকানটিতে বাইরের চাকচিক্য নেই। চোখ ধাঁধানো মিষ্টির প্যাকেটও নেই তাদের। তবুও আদি মিষ্টির দোকানটির স্বাদের খ্যাতি রয়েছে খুলনাজুড়ে। বিশেষ ধরণের পানতোয়া পাওয়া যায় সেখানে। আর দোকানটিতে গরম গরম মিষ্টি খেতেও ছুটে যান অনেকেই। যেমন গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্টদূত।

বিএ-২০/১৭-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)