রাঙ্গামাটিতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রিসাইডিং অফিসারসহ নিহত ৭

রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী এলাকা সাজেক থেকে নির্বাচন শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন, সহকারী পুলিং কর্মকর্তা ও কিশোলয় সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের সহকারী শিক্ষক আমীর হোসেন, আনসার-ভিডিপির নেত্রী জাহানারা, আনসার-ভিডিপি সদস্য বিলকিস আক্তার ও আল-আমীন, মন্টু চাকমা, মিহির কান্তি দত্ত। অপর একজনের নাম জানা যায়নি।

গুরুতর আহতদের মধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও কাচলং কলেজের প্রভাষক আব্দুল হান্নান আরব, তৈয়ব ও মনিরের নাম জানা গেছে।

নিহত ও আহতরা সবাই কংলাক, মাচালং ও বাঘাইহাট এলাকায় নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ৯ কিলোমিটার এলাকায় নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ শেষে উপজেলা সদরে আসার পথে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সবাইকে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।

বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের ওসি মঞ্জুর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং সবাইকে উদ্ধার করে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টা পর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

বিএ-১৬/১৮-০৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)