চতুর্থ ধাপের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের মধ্যে প্রথমবারের মতো পটুয়াখালী সদর উপজেলার সকল ভোটকেন্দ্রে শুক্রবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটার উপস্থিতি কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার না থাকায় অলস সময় পার করছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। একই চিত্র শহরের টাউন উচ্চ বিদ্যালয় ও পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও।
পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কথা হয় ভোটার মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে। তিনি জানান, আমাদের এলাকায় শিক্ষার হার কম। এখানে ইভিএম চালু করতে ছয় মাস আগে থেকে বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে ভালো হতো।
এদিকে পটুয়াখালী লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারি ভোটকেন্দ্রের চিত্র ছিলো ভিন্ন। প্রিসাইডিং অফিসার ইসমাইল হোসেন জানান, ইভিএমে ভোটারদের আগ্রহ আছে। কিছু কিছু ভোটার পরীক্ষামূলক ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ২২ জন ভোটার পরীক্ষামূলক ভোট দিয়েছে বলে জানান তিনি।
ওই কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক ভোট প্রদান করতে আসা নজরুল ইসলাম জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে জাল ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। একবার কোনো ভোটার ভোট দিলে আর ভোট দিতে পারবে না।
অপরদিকে পটুয়াখালী জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এর আগে ইভিএম ছিল না। এ কারণে ইভিএমের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি।
পরীক্ষামূলক ভোট না দেয়ায় ভোটাররা তাদের ভোট সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রুট লেভেলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইভিএম কোনো জটিল পদ্ধতি না। একজন ভোটারের কাজ যতটুকু তিনি ওই কাজ ভোটের দিন আসলেও করতে পারবেন।
বিএ-১২/২৯-০৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)