সাগর পথে মানব পাচারের চেষ্টা কালে টেকনাফ উপকূলে ২৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সব রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩ পুরুষ, ১৬ নারী এবং ৮ শিশু রয়েছে। তারা উখিয়া কুতুপালং, জামতলী, থ্যাংখালী, বালুখালী, টেকনাফের মোচনী, লেদা ও শামলাপুর এলাকার রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করছিল।
বুধবার ৩ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটলিয়ানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বুধবার ভোর রাতে একটি মানব পাচার চক্র বাংলাদেশে বসবাসকারী কিছু রােহিঙ্গা নাগরিককে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য টেকনাফের মহেষখালীয়াপাড়া এলাকায় জমায়েত করা হয়েছে।
ওই সংবাদে রাতেই সাবরাং বিওপির হাবিলদার মো. আবুল কালামের নেতৃত্বে একটি টহলদল টেকনাফের মহেষখালীয়াপাড়া এলাকায় সাগরপাড়ে নৌকার জন্য অপেক্ষায় থাকা ১৩ জন রােহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয় । এতে ২ পুরুষ, ৯ নারী এবং ২ শিশু ভিকটিম ছিল।
এছাড়া মঙ্গলবার রাতে সাবরাং খুরের মুখ কাটাবনিয়া খালের মুখ সাগর তীরবর্তী এলাকা দিয়ে মানব পাচারের সংবাদে অভিযান চালিয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষমান ১৪ জন রােহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
বিজিবি জানায়, টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রােহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা পাচারকারী দালালদের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় গমন করছিল। নৌকা বা ট্রলার যোগে পাচার করতে রোহিঙ্গাদের সাগর পাড়ে জড়ো করা হয়। তবে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি ।
এদিকে উদ্ধার রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হবে এবং তিন পুরুষকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
বিএ-০৯/০৩-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)