বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সোনালি অধ্যায় পার করছে

তিলকপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির ও মণ্ডপের নতুন দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ -সমকাল

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন একটা সোনালি অধ্যায় অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ।

শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার তিলকপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির ও মণ্ডপের নতুন দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভারতের অর্থায়নে দুই কোটি ৫৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, সিলেটের সঙ্গে ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার সীমান্ত রয়েছে। এই তিন রাজ্যের সঙ্গে সিলেটের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিকতায় নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই প্রয়োজনীতা উপলব্ধি করে সিলেটে একটি ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে বহু ভাষাভাষী মানুষের বাস। তাদের রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশে ভারত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় হাইকমিশন কমলগঞ্জে কয়েকটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দিয়েছে।

তিলকপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির ও মণ্ডপ কমিটির সভাপতি ছালিয়া সিংহের সভাপতিত্বে ও মানবিকা সিনহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার এল কৃষ্ণমূর্তি, আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান ও মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিনহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তিলকপুর চাকরিজীবী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সিংহ।

পরে মণিপুরী শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ছাড়াও স্থানীয় মণিপুরী নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ভারতের হাইকমিশনার উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামে আধুনিক মণিপুরী থিয়েটার স্টুডিও-নটমণ্ডপের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। থিয়েটার স্টুডিওটি তৈরিতে ভারত সরকার ৩৫ লাখ টাকা সহায়তা করেছে।

বিএ-২১/০৫-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)