বৈশাখী স্টলে পর্নো তারকা!

টাঙ্গাইলের সখীপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। মেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থী। তবে মেলার বেশকিছু স্টলের নাম অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ দেখা গেছে।

মেলার বেশকিছু স্টলের নাম পর্নো তারকার নামে হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন দর্শনার্থীরা। সেই সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ চিন্তা ধারার জন্য মেলাটি গুরুত্ব হারাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

নববর্ষের প্রথম দিন রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এবং উপজেলা পরিষদ মাঠে এ মেলা শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে মেলা। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার স্টলের নাম অশালীন হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের সমালোচনা করছেন কেউ কেউ।

মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, মেলায় কিছু স্টলের ব্যানারে অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। এতে তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে। দ্রুত ওই স্টলগুলোর ব্যানার সরিয়ে ফেলার দাবি জানান তারা।

সখীপুর উপজেলার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, মেলায় অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি স্টল করা হয়েছে। স্টলগুলোতে উঠতি বয়সের তরুণরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করছে। ব্যানারে খুব বড় করে অশ্লীল ভাষাগুলো লেখা হয়েছে। লেখাগুলো খুব সহজেই নজরে আসছে দর্শনার্থীদের। সবচেয়ে বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন নারীরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মেলার একটি স্টলে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ছবিসংবলিত বড় একটি ব্যানারে লেখা হয়েছে, ‘কেরাবেরা লাগাইয়া দিমু, আয়োজনে ডেভিট বো।’

পাশের স্টলের বড় আরেকটি ব্যানারে লেখা হয়েছে, ‘ঐ হবে নাকি একটু। আইনের কসম বলছি দাঁড়াও, সৌজন্যে- আমরা আমরাই তো, আয়োজনে স্টার বয়েজ ক্লাব।’

পাশাপাশি মেলার আরেকটি স্টলের ব্যানারে পর্নো তারকা জনি সিন্সের ছবি ছাপিয়ে লেখা হয়েছে, ‘ধর ওরে ধর, আজকে তরে হবে, সৌজন্যে জনি সিন্স।’ সেই সঙ্গে পাশের স্টলের আরেকটি ব্যানারে লেখা হয়েছে, ‘শুভ নববর্ষ-১৪২৬, ঐ…লাইট অফ কর।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছবুর রেজা বলেন, ‘আমি বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। লেখাগুলো খুবই অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ। আমাদের ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্যই বৈশাখী মেলার আয়োজন। সেটা যদি বিকৃত হয় তাহলে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা কী শিখবে? প্রশাসনের আয়োজনে মেলায় এ লেখাগুলো কোনোভাবেই কাম্য নয়। ওসব ব্যানার দ্রুত সরিয়ে ফেলা দরকার।’

সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার চোখে পড়েনি। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব আমি।

বিএ-০৭/১৫-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)