নুসরাতের সহপাঠী শামীমও ৫ দিনের রিমান্ডে

ফেনীর নুসরাতকে

ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার সহপাঠী মো. শামীমের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরাফ উদ্দিন আহম্মেদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কোর্ট ইনসপেক্টর গোলাম জিলানী জানান, নুসরাত হত্যা মামলায় শামীমকে আদালতে তুলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পদির্শক (ওসি) মো. শাহ আলম সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে শামীমকে সোনাগাজী উপজেলার পশ্চিম তুলাতলি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাবার নাম শফি উল্লাহ। তিনি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী।

এদিকে নুসরাত হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৪ এপ্রিল রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন মামলার অন্যতম আসামি নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম।

১৭ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আবদুর রহিম শরিফ।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন্নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি, আবদুর রহিম শরিফ ও হাফেজ আবদুল কাদের।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর অবস্থায় ওই দিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।

এর আগে ২৭ মার্চ ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্য নুসরাত ও তার পরিবারের ওপর চাপ দিচ্ছিল অধ্যক্ষের লোকজন। এরপর ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।

বিএ-০১/১৮-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)