পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় খালু বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ (১৮)। স্থানীয় বখাটে যুবক রফিক ফকির লোকজন নিয়ে নববধূর স্বামীকে মারধর করে আটকে রাখেন। পরবর্তীতে নববধূকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি খোলা মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ৮টার দিকে ওই উপজেলার বেতমোর নামক গ্রামে। নববধূকে রাতেই উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এমনকি সংশ্লিষ্ট থানায় ওই রাতেই নববধূর স্বামী জাহিদুল ইসলাম সুজন হাওলাদার বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
এই মামলায় ওই গ্রামের রুস্তুম ফকিরের ছেলে রফিক ফকির, দেলোয়ারের ছেলে রাসেল, এছাহাক হাওলাদারের ছেলে খালেক এবং মন্নান গাজীর ছেলে জাফরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বরগুনা জেলার আমতলী থেকে কলপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামে খালু শ্বশুর বশার খানের বাড়িতে নববধূকে নিয়ে বেড়াতে আসেন জাহিদুল ইসলাম সুজন হাওলাদার। সন্ধ্যায় স্থানীয় বখাটে রুস্তুম ফকিরের ছেলে রফিক ফকিরের নেতৃত্বে ৫ থেকে ৬ জন লোক ওই বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করেন।
পরবর্তীতে তারা ওই দম্পতির বিয়ে হয়নি দাবি করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন বিষয়টি প্রতিবাদ করলেও নববধূর স্বামীকে রফিকের লোকজন মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখান।
কিন্তু এতেও টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় স্বামী জাহিদুল ইসলামকে ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নববধূকে মুখ চেপে বাসার পাশে একটি খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নববধূকে ধর্ষণ করে রফিক ফকির। এসময় নববধূ ও পরিবারের সদস্যদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ধর্ষকসহ সকলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, নববধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান ওসি।
বিএ-০৭/২৫-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)