ফেনীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহির হোসাইন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল একই আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, নুসরাত হত্যা মামলার আরও তথ্য উদঘটনে শাহাদাত হোসেন শামীমের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যদিও এর আগে হত্যার দায় স্বীকার করে শামীম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিল।
গত ১২ এপ্রিল সকালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে শাহাদাত হোসেন শামীমকে গ্রেফতার করে পিবিআই। শামীম নুসরাত হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত আটজন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা হলেন- নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমীন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদাক মাকসুদ আলমসহ ২০ জনকে জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে গেলে তার গায়ে আগুন দেয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় ওই দিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।
এর আগে ২৭ মার্চ ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্য নুসরাত ও তার পরিবারের ওপর চাপ দিচ্ছিল অধ্যক্ষের লোকজন। এরপর ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
বিএ-১০/২৫-০৪ (ন্যাশনাল ডেস্ক)