শেরপুরে গারো পাহাড়ের ছোট গজনী এলাকায় প্রতিবন্ধী এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়াও জেলার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনায় তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের কারণে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে।
শনিবার শেরপুর জেলা হাসপাতালে তাদের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে শ্রীবরদীর পাচ মেঘাদল গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী (২৫) ঝিনাইগাতীর ছোটগজনী পিছলারপথ এলাকায় চলে আসে। ওই তরুণীকে অনুসরণ করে শ্রীবরদী উপজেলার কর্ণঝোড়া গ্রামের মৃত সিরাজউদ্দিনের ছেলে ছাইদুর রহমান (৩৫) ও একই উপজেলার বকুলতলা গ্রামের মুফাজ্জল হোসেন মুক্কার ছেলে খাইরুল ইসলামও (৩১) ওই স্থানে আসেন।
এ সময় খাবার ও টাকার লোভ দেখিয়ে ওই দুইজন ও তাদের সহযোগীরা প্রতিবন্ধী তরুণীকে গজারী বাগানের গভীরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরে তরুণীর গোঙানি শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানায় নিয়ে আসে ও আত্মীয়-স্বজনকে খবর দেয়।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
এদিকে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বালিয়াদি গ্রামের তের বছর বয়সী দৃষ্টি ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে।
পুলিশ জানায়, শিশুটির ৮ মাস বয়সের সময় তার মা মারা যান। পরে বাবা আরেকটি বিয়ে করে ঢাকায় চলে যান। এরপর থেকে জন্মগতভাবে দৃষ্টি ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুটি দাদার কাছে থাকে। সে বালিয়াদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাতায়াতের পথে একই প্রতিবেশি চাঁন মিয়ার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম রানা মাস ছয়েক আগে তাকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে অটোরিকশার ভেতরে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনাটি মেয়েটি কাউকে জানায়নি। এরপর রানা আরও বেশ কয়েকদিন শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন টের পায়। ঘটনাটি ছেলের বাবাকে জানালে তিনি মেয়ের দাদাকে হুমকি দেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনি শুক্রবার সালিস ডেকে রানাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বিএ-০৫/২৬-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)