নোয়াখালীর সূর্বণচর, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বসতঘরের নিচে চাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন নামের দুই বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৫ জন আহত ও শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে ফণী। নিহত ইসমাইল সুবর্ণচরের চর আমানউল্যা ইউনিয়নের আব্দুর রহমানের ছেলে। তবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে অনেককে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা থেকে জেলায় বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়। গভীররাতে হঠাৎ জেলার সুবর্ণচর ও সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে আঘাত করে টর্নেডো। কয়েক মিনিটের টর্নেডোতে বিধ্বস্ত হয় দুটি উপজেলার শতাধিক কাঁচা বাড়িঘর।
এ সময় চর আমানউল্যা এলাকায় একটি ঘর ভেঙে পড়লে মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় চাপা পড়ে শিশু ইসমাইল নিহত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
এসএইচ-০৪/০৪/১৯ (অাঞ্চলিক ডেস্ক)