কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নিলামকৃত সরকারি জিপে করে ইয়াবা পাচারকালে তিন পাচারকারী ও ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১৫-এর সদস্যরা।
সোমবার রাতে পৃথক সময়ে টেকনাফ সদরের বরইতলী ও দরগাছড়া এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ইয়াবা, নগদ টাকা, জিপগাড়ি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ইয়াবা ও টাকাসহ গ্রেফতারকৃতরা হলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আল হোসাইন শপিং মহলের ফ্যামেলি কেয়ার কাপড়ের দোকান ব্যবসায়ী মৃত আবু তাহেরের ছেলে তারেক হোসাইন (৩৪), ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বর, ব্লক-এ, রোড-৭, হাউস নং-৯-এর বাসিন্দা মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান (৩০) ও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার মৃত খোকন কাজির ছেলে কাজি হোসেন। তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ও একটি জিপগাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতারকৃতরা হলেন টেকনাফ সদরের লেঙ্গুরবিল এলাকার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসন (২৫) ও নুর মোহাম্মদের ছেলে জসিম উদ্দিন (১৯)। তাদের কাছ থেকে দুটি কিরিচ ও দুটি চাকু জব্দ করা হয়েছে। অভিযানকালে তাদের সহযোগী দক্ষিল লেঙ্গুরবিলের মোহাম্মদ হাসানের ছেলে কামাল হোসেন (২০), আমির হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২২) ও বদিউর রহমান বদুরনের ছেলে মো. ফারুক পালিয়ে গেছে।
র্যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফ সদরের বরইতলী এলাকায় চেকপোস্ট বসায় র্যাব। এ সময় কক্সবাজারগামী সরকারি জিপে (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১১-৬৯৫৯) তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার ইয়াবা, নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গাড়ির তিন যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে জিপটিও জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিলামকৃত জিপের মাধ্যমে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে টেকনাফ সদরের দরগাছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৫। সোমবার মধ্যরাতে তারা ডাকাতি করতে জড়ো হয়েছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালাতে চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে দুইজনকে ধরা হয়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি কিরিচ, দুটি চাকু জব্দ করা হয়েছে। তাদের আরও তিন সহযোগী পালিয়ে যায়। এদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র্যাবের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব।
বিএ-০৮/০৭-০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)