কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৪) নামে এক নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বাসচালক ও হেলপারসহ পাঁচজনের আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। কিশোরগঞ্জের ২নং জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-মামুন বুধবার বিকেলে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর করা আসামিরা হলেন- ধর্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. নূরুজ্জামান, মো. লালন মিয়া, সন্দিগ্ধ আসামি মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, মো. খোকন মিয়া ও মো. বকুল মিয়া।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেকের আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কিশোরগঞ্জের কোর্ট পরিদর্শক মো. তফিকুল ইসলাম তৌফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিহত নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়ার বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাজিতপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। স্বর্ণলতা বাসের চালক গাজীপুরের কাপসিয়ার নূরুজ্জামান, হেলপার লালন মিয়া, আল আমিন ও আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ চারজনকে এ মামলার এজহারভুক্ত আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। এজহারভুক্ত আসামি আল আমিন ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন পলাতক রয়েছে। বাজিতপুর থানা পুলিশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ দিকে ময়নাতদন্তের পর রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তে মেয়েটিতে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে আলামত পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে ঢাকা থেকে বাজিতপুরের পিরিজপুরগামী স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরীর বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে শাহিনুর আক্তার তানিয়া। বাসের অন্যযাত্রীরা নেমে গেলে বাসের চালক, হেলপারসহ অন্যরা মেয়েটিকে বাসের ভেতরে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে তাকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষণকারীরা। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গজারিয়া জামতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিএ-১৩/০৮-০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)