টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভনে নাতনিকে ধর্ষণ করলেন বিএনপি নেতা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জুলহাস মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পৌর এলাকার ইউনিয়ন পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জুলহাস উপজেলার গোড়াইল গ্রামের মো. আলাল মিয়ার ছেলে। কিশোরী ওই নাতনিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন জুলহাস।

জানা গেছে, উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামের ওই কিশোরী সম্পর্কে জুলহাসের নাতনি (ভাতিজীর মেয়ে)। আত্মীয়তার কারণে দীর্ঘদিন ধরে জুলহাসের বাসায় থাকত সে। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্ষণ করে আসছেন জুলহাস। সর্বশেষ গত ৬ মে রাতে জুলহাস ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় কিশোরী জুলহাসকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি এতে অস্বীকৃতি জানান।

এ ঘটনায় বুধবার ওই কিশোরী মির্জাপুর থানায় জুলহাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে। বুধবার রাতেই পুলিশ মির্জাপুর সদরের ইউনিয়ন পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

ওই কিশোরীর জন্মের এক বছরের মধ্যে তার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়। বছর কয়েকের মধ্যে মায়ের অন্যত্র বিয়ে হলে বাবা তার মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে যান। কয়েক বছর আগে কিশোরীর বাবা বিদেশে যাওয়ার সময় মেয়েকে বিশ্বস্ত অভিভাবক হিসেবে জুলহাসের বাসায় রেখে যান।

মির্জাপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন কুমার সাহা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাদীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুল হক ধর্ষণ মামলায় জুলহাসকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বিএ-০৯/১৬-০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)