৭ বছরে ১৫০ চুরি তিন বন্ধুর

তিন বন্ধুর চুরি করার এক সিন্ডিকেট। এই তিনজনে গত সাত বছরে চুরি করেছে ১৫০টি জায়গায়। চট্টগ্রামের ওই চোর চক্রের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার গ্রেফতারের পর দুই চোর বন্ধু চুরির সব তথ্য স্বীকার করেছে বলে জানান সদরঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ রুহুল আমীন।

পুলিশ জানায়, নগরীর সদরঘাট থানার কদমতলী এলাকায় গত ২৩ এপ্রিল শুকতারা ট্রান্সপোর্ট অফিস থেকে ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা, চারটি স্বর্ণের চেইন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক এবং তিনটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। রান্নাঘরের গ্রিল কেটে চোর ভেতরে ঢুকেছিল।

এ ঘটনায় মামলার প্রায় এক মাস পর শনিবার ভোররাতে নগরীর ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইপিজেড এলাকার মো. রুবেল (২৮) ও নগরীর মনসুরাবাদ এলাকার মো. খোকনকে (৩২) গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমীন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল ও খোকন বলেছে- সাত বছর ধরে তিন বন্ধু মিলে নগরীতে গ্রিল কেটে চুরি করে আসছে তারা। প্রায় ১৫০ চুরির কথা তারা স্বীকারও করেছে।

তিনি জানান, শুকতারা ট্রান্সপোর্ট অফিসে চুরির আগে তারা নগরীর মুরাদপুর আতুরার ডিপো এলাকায় একটি বাসায়, মনসুরাবাদে একটি পোশাক কারখানায়ও চুরি করে। ট্রান্সপোর্ট অফিসে চুরির সিদ্ধান্ত ছিল তাদের তাৎক্ষণিক।

দুই বন্ধুর বরাত দিয়ে রুহুল আমীন জানান, ঘটনার রাতে তারা তিনজন রিকশা নিয়ে বের হয়। অফিসটি বন্ধ দেখে সেখানে চুরির সিদ্ধান্ত নেয়। রিকশা বিদায় করে একজন নিচে রাস্তায় পাহারা দিতে থাকে। বাকি দু’জনের একজন রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে, আরেকজন জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।

তিনি জানান, চুরির পর তিনজন কদমতলী থেকে চৌমুহনী এলাকায় চলে যায়। সেখানে টাকাসহ চুরির মালামাল নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগরীতে সক্রিয় আছে বেশ কয়েকটি গ্রিল কাটা চোর চক্র। গ্রেফতার হওয়া খোকন-রুবেলরা এমনই চক্রেরই অংশ।

বিএ-১৭/২৫-০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)