সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার পূর্ব চারিগ্রামে বিয়ের চার দিনের মাথায় নববধূর যৌনাঙ্গ কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলেছেন এক মাদকসেবী স্বামী। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী নাজিম উদ্দীন পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় নির্যাতিত স্ত্রী রুনা বেগম বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব চারিগ্রামে মৃত মুছব্বির আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিনের (৩৩) সঙ্গে গত ১৩ জুন হরাইত্রিলোচন গ্রামের দিনমজুর আব্দুল গফুরের মেয়ে রুনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম রাতেই রুনার স্বামী নাজিম উদ্দিন স্ত্রীকে বলেন বিয়েতে তার প্রায় এক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সে টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দেয়ার জন্য রুনাকে চাঁপ দিতে শুরু করেন স্বামী নাজিম উদ্দিন।
বিয়ের চার দিনের মাথায় গত ১৭ জুন গভীর রাতে যৌতুকের টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার সময় গামছা ও ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধরের এক পর্যায়ে রুনার যৌনাঙ্গে কাঁচি ঢুকিয়ে তা কেটে ফেলে। এতে রুনা অজ্ঞান হয়ে পড়লে ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। রক্তাক্ত রুনাকে বাবার বাড়ির লোকজন প্রথমে জকিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতা রুনার বাবা দিনমজুর আব্দুল গফুর মেয়ে নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে বলেন, মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। আশা ছিল বিয়ের পর সুখে শান্তিতে স্বামীর বাড়িতে থাকবে। কিন্তু মেয়ের বিয়ের চারদিন পর তাকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছি।
এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, জঘন্য এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।
বিএ-২০/২৯-০৬ (আঞ্চলিক ডেস্ক)