ছেলেধরা ভেবে চাঁদপুরে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে মানুষের মাথা লাগবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন গুজবে গলা কাটা, বস্তাওয়ালা কিংবা ছেলেধরা ভেবে মনু মিয়াকে (৪০) বেধরক মারধর করেছে স্থানীয় জনতা।

বৃহস্পতিবার চাঁদপুর সদরের ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার মনু মিয়া লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বাসাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম দুলু মিয়া। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মনু মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাউসার জানায়, চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ইচলী কলোনি এলাকায় একজন ব্যক্তি ভিক্ষা করার জন্য প্রবেশ করে। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাকে ছেলেধরা ভেবে মারধর করতে করতে চাঁদপুর-রায়পুর সড়ক সংলগ্ন কাদির গাজী মার্কেটের কাছে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

তিনি জানান, লোকজন যেভাবে তাকে মারধর শুরু করেছিল আরেকটু দেরি হলে মারা যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক দিলিপ কুমার জানান, সকালে গাছতলা এলাকা থেকে ৯৯৯ তে ফোন করে ছেলে ধরা আটক করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। পরে আমরা গিয়ে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তার বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে চাঁদপুর জেলার একাধিকস্থানে এ ধরনের ঘটনায় চাঁদপুর পুলিশ মিডিয়া সেলে একটি বিবৃতি দিয়েছেন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির। বিবৃতিতে তিনি বলেন, কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহল পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে মর্মে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়াচ্ছেন। এ ধারাবাাহিকতায় চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী কিংবা ভবঘুরে নারী পুরুষদের আটক করে গণপিটুনি দেয়া হচ্ছে।

প্রতিটি ঘটনা চাঁদপুর পুলিশ বিভাগের নজরে এসেছে। যারা এর পেছনে আছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। গুজব ছড়ানোর পেছনে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

বিএ-১৫/১১-০৭ (আঞ্চলিক ডেস্ক)