বরিশালে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ২ বন্ধুর যাবজ্জীবন সাজা

ফাইল ছবি

বরিশালে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুই বন্ধুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে উভয়কে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আরজিকালিকাপুর গ্রামের কালাম মীরার ছেলে রুবেল মীরা (২৬) ও সেন্টু খানের ছেলের মনির খান (২৭)। এদের মধ্যে রুবেল পলাতক।

নিহত মুক্তা আরজি কালিকাপুর গ্রামের খলিলুর রহমান ঘরামীর মেয়ে। সে আরজি কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মামলার নথির বরাত দিয়ে আদালতের পেশকার মো. আজিবর রহমান বলেন, খলিলুর রহমানের সঙ্গে আসামিদের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০১২ সালের ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় বান্ধবী সুমির বাসায় টেলিভিশন দেখার কথা বলে ঘর থেকে বের হয় মুক্তা। তার ঘরের পাশে আগে থেকে ওঁৎপেতে ছিল মনির ও তার বন্ধু রুবেল।

মুক্তা ঘর থেকে বের হলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। এরপর গলা টিপে হত্যার করে মরদেহ সুমির বাড়ির রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরদিন ৩০ জুলাই মুক্তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা হয়। পরে ময়নাতদন্তে মুক্তাকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া যায়।

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেয়ে মুক্তার বাবা খলিলুর রহমান অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আল মামুন উল ইসলাম ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মনির ও রুবেলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।

বিএ-১১/১৩-০৭ (আঞ্চলিক ডেস্ক)