পিরোজপুরে দুই সন্তানের জনকের ধর্ষণের শিকার ৬ বছরের শিশু

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় দুই সন্তানের জনকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ছয় বছরের এক শিশু। ধর্ষণে গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শিশুটির মা।

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে উপজেলার শাঁখারিকাঠি ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মন্দিরভিত্তিক শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে শিশু শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত মিন্টু মণ্ডল (৩৫) উপজেলার মাটিভাঙ্গা গ্রামের মৃত গুরুদয়াল মণ্ডলের ছেলে। উপজেলার শাঁখারিকাঠি ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামের মৃত প্রফুল্ল গাইনের জামাতা মিন্টু। গিলাতলা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি সপরিবারে বসবাস করে এবং সেখানেই ডেকোরেটরের ব্যবসা করেন তিনি।

সরেজমিনে সোমবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি বলেন, রোববার দুপুর ২টার দিকে আমার ছয় বছরের মেয়ে বাড়ির অন্য একটি শিশুর সঙ্গে খেলছিল। এ সময় পাশের বাড়ির মৃত প্রফুল্ল গাইনের জামাতা মিন্টু মণ্ডল আমার মেয়েকে ডেকে তার ডেকোরেটরের মালামাল রাখার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে সে।

এ সময় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেড়ে দেয়। শিশুটি বাড়ি ফিরে আমাকে বিষয়টি জানায়। তখন মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক প্রফুল্ল গাইনের কাছে নিয়ে যাই। পরে অবস্থা গুরুতর হলে সোমবার সকালে মেয়ের বাবা ও ধর্ষক মিন্টুর শ্যালক রিপন গাইন চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে গোপালগঞ্জ নিয়ে যায়।

নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনিরুল ইসলাম মুনির জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরও ধর্ষক মন্টুকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

বিএ-১৪/১৯-০৮ (আঞ্চলিক ডেস্ক)