বোরকা পরেই অফিস করছেন সাধনা, বদলি চেয়ে তদবির

ছুটি শেষে বোরকা পরেই অফিস করছেন জামালপুরে ডিসি অফিসের অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা।

ডিসি আহমেদ কবীরের সাথে দপ্তরের খাস কামরায় যৌনতায় লিপ্ত হন এই নারী।

সম্প্রতি তাদের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এনিয়ে ওএসডি করে জেলা প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ডিসি আহমেদ কবীরকে।

আর নিজেকে আড়ালে রাখতে তিন দিনের ছুটি কাটিয়ে অফিসে ফেরেন সাধনা। দ্বিতীয় দফা ৫ দিনের ছুটি চেয়েও পাননি তিনি। ফলে বাধ্য হয়েই নেকাবে মুখ ঢেকে অফিস করছেন ।

এরই মধ্যে চাউর হয়েছে, সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা বদলি হয়ে অন্যত্র যেতে চাইছেন। এনিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদনও করেছেন তিনি।

জানা গেছে, প্রতিদিন পৌনে ৯টায় রিকশাযোগে ডিসি অফিস প্রাঙ্গনে নামেন সাধনা। সবার অগোচরে সিঁড়ি বেয়ে জেলা প্রশাসকের গোপনীয় শাখার প্রটোকল অফিসার মো: সাখাওয়াত হোসেনের কাছে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে ৫ মিনিট অবস্থান করে দ্রুত কর্মস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

ডিসি আহমেদ কবীর ও সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাধনার ডিসি অফিসে যাতায়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জামালপুরের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।

এদিকে, ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার ডিসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ৫ সদস্যের এই তদন্ত কমিটির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় ৮ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে আরো ১০ দিনের তদন্তের সময় বাড়ানো হয়েছে।

তদন্তের সময় বাড়ানো নিয়ে জামালপুরের মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে কানাঘুষা। তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করে ডিসিকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জামালপুরের মানুষ।

জামালপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক মো: এনামুল হক বলেন, সাধনা বদলীর আবেদন করেছে, সেটা তদন্ত কমিটি দেখবে। যেহেতু চাকরি থেকে বাদ পড়েনি, এখনো কর্মরত রয়েছে, তাই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যাচ্ছে। তদন্তের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সঠিক তদন্তে উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বিএ-১০/০৯-০৯ (আঞ্চলিক ডেস্ক)