সেই শাহিন বিচারককে খুলে বলল সেদিনের ঘটনা

মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা সেই শাহিন সাতক্ষীরার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। কে তাকে ডেকে নিয়েছিল আর কারা তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় সব কিছুই তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে শাহিন।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার রায়ের আদালতে জবানবন্দি দেয় শাহিন।

জবানবন্দি দেয়ার জন্য মা খাদিজা বেগম, ছোট চাচি হিরা খাতুন ও মঙ্গলকোর্টের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জহির রায়হানের সঙ্গে দুপুরের আগেই সাতক্ষীরার ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছায় শাহিন। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয় আদালতে।

শাহিনের সঙ্গে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জহির রায়হান বলেন, বিচারক ৪০ মিনিট শাহিনের কথা শুনেছেন। জবানবন্দির সময় শাহিন সেখানে একাই ছিল। শাহিন সব খুলে বলেছে বিচারককে।

শাহিনের মা খাদিজা বেগম জানান, মৃত্যুর কোল থেকে আমার একমাত্র ছেলে বেঁচে ফিরেছে। আমি শাহিনের ওপর হামলার বিচার চাই।

সাতক্ষীরার পাটকেরঘাটা থানায় শাহিনের বাবা হায়দার আলী মোড়লের দায়ের করা মামলাটি সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের কাছে রয়েছে।

ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, আদালতে শাহিন তার জবানবন্দি দিয়েছে আজ। মামলার তদন্ত অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাহিনের মেডিকেল রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট পেলেই চার্জশিট জমা দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ভ্যানচালক ও মাদরাসা ছাত্র শাহিন কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে। গত ২৮ জুন বাড়তি ভাড়া দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শাহিনের ভ্যানটি ভাড়া করে সেখানকার চার যুবক। সেদিনই সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া এলাকায় শাহিনের মাথা থেতলে দিয়ে মৃতভেবে পাটক্ষেতে ফেলে দেয় ওই চার যুবক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে। সেখানে টানা ৮০ দিন চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে ফেরে শাহিন। শাহিনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিএ-১৯/০২-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)