ব্যাগভর্তি টাকা রাস্তায় কুড়িয়ে পেলেন দুই ব্যবসায়ী

যশোরে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মশিয়ার রহমান ও গৌতম মিত্র নামে দুই ব্যবসায়ী। ব্যাগভর্তি প্রায় তিন লাখ টাকা রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়ে তারা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় জমা দিয়েছেন। পরে টাকার মালিক থানায় এসে পুলিশের মাধ্যমে ওই টাকা বুঝে পেয়েছেন। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানার সামনের চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশনস) শেখ তাসমিম আলম জানান, সকাল ১০টার দিকে শহরের বেজপাড়া তালাতলার মোড়ের বাসিন্দা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মুন্সি আফসার উদ্দিনের ছেলে মশিয়ার রহমান ও উপশহর এলাকার বাসিন্দা হস্তশিল্প ব্যবসায়ী গৌতম মিত্র ব্যাগভর্তি টাকা চৌরাস্তায় কুড়িয়ে পান। পরে ওই ব্যাগটি থানায় জমা দেন। তাদের দাবি ওই ব্যাগভর্তি টাকা রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন।

সে সময় ডিউটি আফিসার মাইনুল আহসান ব্যাগভর্তি টাকা বুঝে নিয়ে জমা রাখেন। ওই ব্যাগের মধ্যে ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ছিল। পরবর্তীতে যশোর শহরের বড়বাজারের আটাপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী গোবিন্দ চন্দ্র সাহা ও নির্মল সাহা থানায় আসেন। ওই টাকা তাদের বলে দাবি করেন। পরে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়।

গোবিন্দ চন্দ্র সাহা জানান, তাদের ঝুমঝুমপুরস্থ বিসিকে একটি আটা ময়দার কারখানা রয়েছে। এছাড়া আটাবাজারে তাদের দোকান আছে। বুধবার সকালে তিনি আগের দিনের কেনাবেচা করা ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা বাড়ি থেকে ব্যাগে করে নিয়ে দোকানে যাচ্ছিলেন।

পথিমধ্যে কোথাও ব্যাগটি পড়ে যায়। টাকাগুলো এদিন সকালে ব্যাংকে জমা দেয়ার কথা ছিল। লোকমুখে জানতে পেরে তারা থানায় আসেন। পুলিশকে উপযুক্ত প্রমাণ দিলে ওই টাকা তাদের দিয়ে দেয়া হয়।

ব্যবসায়ী মশিয়ার রহমান জানান, চুড়িপট্টিতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সকালে উত্তরা ব্যাংকের সামনে মোটরসাইকেল রেখে হাঁটাতে হাঁটতে চুড়িপট্টি যাচ্ছিলেন। রাস্তার ওপর একটি ব্যাগ দেখে তা খুলে দেখেন অনেক টাকা। ব্যাগটি উঠিয়ে নেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক ব্যবসায়ী গৌতম মিত্র। তারা ব্যাগটি থানায় নিয়ে জমা দেন।

বিএ-২০/০২-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)