বিয়ের আশ্বাসে কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ

মানিকগঞ্জে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক কিশোরীকে রাতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় কিশোরীর সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত জাভেদ হোসেন (২৬)। শুক্রবার দুপুরে অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নির্যাতনের শিকার কিশোরী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার একটি মাধ্যমিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের জাভেদ হোসেন কিশোরীকে বছর খানেক ধরে উত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সে।

বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে করার কথা বলে জাভেদ ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী এলাকায় নিয়ে যান। এরপর একটি বাড়িতে রাতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। সেখানে তার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার কৌশলে লুটে নিয়ে পালিয়ে যায় জাভেদ।

শুক্রবার দুপুরে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী এলাকা থেকে পরিবারের লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পঞ্চম তলায় মেঝেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ওই কিশোরীকে। এ সময় কিশোরীর মা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আটটার পর থেকে তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার দুপুরে মেয়ে ফোন করে ঘটনাটি জানান। এরপর বানিয়াজুরী এলাকায় মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়েকে জাভেদ ধর্ষণ করেছে। এরপর মেয়ের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে জাভেদ পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানান।

তবে শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএ-১৮/১৮-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)