কিশোরীকে নয়দিন ধরে ৮ বন্ধুর ধর্ষণ!

ফাইল ছবি

খুলনায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীকে (১৪) নয়দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে কিশোরীকে শনিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরী।

এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে মামলার মূল আসামি জাকারিয়া ইসলাম ওরফে জাকিরকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফরিদপুরে নিয়ে আট বন্ধু মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে জাকির।

পুলিশ জানায়, খুলনা মহানগরীর শিরোমণি এলাকার একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রায় ছয় মাস আগে জাকিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৮ অক্টোবর কিশোরীকে ফরিদপুর নিয়ে যায় জাকির।

এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ অক্টোবর খানজাহান আলী থানায় একটি জিডি করা হয়। ১৭ অক্টোবর মেয়েটি অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসে। সেই সঙ্গে কিশোরীকে ফরিদপুরে আটকে রেখে জাকির ও তার সাত বন্ধু ধর্ষণ করেছে বলে পরিবারকে জানায়।

কিশোরীর পরিবার জানায়, ৮ অক্টোবর শিরোমণি থেকে কিশোরীকে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জাকির ও তার সাত বন্ধু কিশোরীকে টানা নয়দিন ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ছেড়ে দেয় তারা। ১৭ অক্টোবর বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি জানায় কিশোরী।

খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জাকিরসহ আটজনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলার পর অভিযান চালিয়ে শিরোমণি থেকে জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিএ-১৮/২০-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)