সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি এই দ্বীপ। ভ্রমণ মৌসুমে ছোট্ট এই প্রবাল দ্বীপে পর্যটকদের ঢল নামে।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সাগর পথে এর দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। দুই যুগ আগেও সেন্টমার্টিন দ্বীপে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ছিল কাঠের নৌকা আর ইঞ্জিনচালিত বোট। তবে এখন সেন্টমার্টিন যাতায়াতে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক বিলাসবহুল জাহাজ।

চলতি মৌসুমে বৃহস্পতিবার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। টেকনাফ থেকে এর দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। টেকনাফের কেয়ারী ঘাট থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা।

বেশ কয়েক বছর ধরে পর্যটন মৌসুমে সেন্টমার্টিনে দেশি-বিদেশি হাজারও পর্যটক ভিড় করছে। এসব পর্যটক বহনে যুক্ত হয়েছে অর্ধডজন বিলাসবহুল জাহাজ। চাহিদার কারণে আজ থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে একাধিক জাহাজ চলাচল শুরু করছে। তবে এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের অনুমতি পেয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন এবং দ্য আটলান্টিক নামের তিনটি জাহাজ।

গত ৩০ অক্টোবর জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এসব জাহাজ চলাচলে অনুমোদন দিয়েছেন। এর আগে এ তিনটি জাহাজ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয় থেকে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি পেয়েছে বলেও জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন থেকে অনুমতি সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে এতদিন জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। আবহাওয়া ভালো থাকলে বহস্পতিবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে। জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ও সেন্টমার্টিন-সোনাদিয়া আমাদের জাতীয় সম্পদ। এখানকার সৌন্দর্য ও আকর্ষণে এখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটন এলাকায় ভ্রমণে আসা পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।

বিএ-০২/০১-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)