বরিশালে জুয়ার টাকার জন্য প্রাণ গেল যুবককে

বরিশালে জুয়া খেলার পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে রুহুল আমিন (২৬) নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর আমানতগঞ্জ কশাইবাড়ি পোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রুহুল আমিন ভোলা সদর উপজেলার দিঘলদী এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা শফিউল ইসলামের মেয়ে জামাই। রুহুল আমিন শ্বশুর বাড়িতে থেকে নগরীর বাজার রোডের একটি দোকানে কাজ করতেন।

অভিযুক্ত সুমন ওরফে লাইলী সুমন আমনতগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে রুহুল আমিন তার দুজন বন্ধুর সঙ্গে কশাইবাড়ি পুল সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত ভবনের পাশে বসে ছিলেন। এ সময় সাইকেল চালিয়ে সেখানে আসেন সুমন। পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুমন তার কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র (দা) বের করে রুহুল আমিনকে কোপাতে থাকেন।

এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু পালিয়ে যায়। রুহুল আমিন দৌড়ে পাশের ঈদগাহ মাঠে গিয়ে পড়ে গেলে সেখানেও তাকে কোপায় সুমন। পরে সুমন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রুহুল আমিন ও সুমনের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, রুহুল আমিন ও সুমন একসঙ্গে চলাফেরা করত। তারা মোবাইলে লুডু খেলার মাধ্যমে জুয়া খেলত। খেলায় কয়েকবার হেরে যায় রুহুল আমিন। তার কাছে জুয়ার টাকা বাবদ ২৬ হাজার টাকা পেতেন সুমন। এ নিয়ে বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদ জানান, জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা শোনা যাচ্ছে। তবে অন্য কোনো কারণেও এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে, তাকে দ্রুত গ্রেফতারে সক্ষম হবে পুলিশ।

বিএ-১৪/০৪-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)