নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের বাসাইলে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীর দাদা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার বাসাইল গোবিন্দ স্কুল এলাকায় এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতাররা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (২০), একই উপজেলার খারজানা এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে আমিরুল ইসলাম (২০) ও রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার খারাগাছী এলাকার আক্তার আলীর ছেলে মিলন মিয়া (২২)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন আগে বাসাইল উপজেলার যৌতকী গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে আসে পার্শ্ববর্তী উপজেলা সখীপুরের চাকদহ্ গ্রামের ওই কিশোরী। সোমবার সকালে সে নানা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় আজাদ, আমিরুল ও মিলন তাকে ফুঁসলিয়ে বাসাইল গোবিন্দ স্কুল পাড়ায় তাদের মেসে নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরে কৌশলে ওই কিশোরী আহত অবস্থায় পালিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মঙ্গলবার তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ওই কিশোরী সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বাসাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম তুহিন আলী জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীর দাদা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপার (সখীপুর সার্কেল) আব্দুল মতিন জানান, এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে হাসপাতালেই ভর্তি রাখা হয়েছে। তার আরও কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

বিএ-০৭/০৬-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)