ভোলায় নৌবাহিনীর টহল দেখে মুহূর্তে রাস্তা ফাঁকা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভোলায় নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে শহরে শুরু হয় নৌবাহিনীর টহল। বিনা কারণে মানুষকে রাস্তায় ঘোরাফেরা না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে নৌবাহিনীর টহল শুরুর পর থেকে রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। রাস্তায় মানুষ না থাকায় অটোরিকশা, রিকশা এমনকি ভ্যানের সংখ্যাও কমে যায়।

এদিকে শহরে ফার্মেসি, মুদি ও কাঁচাবাজার ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে অকারণে সড়কে ঘোরাঘুরি করায় এখন পর্যন্ত কাউকে শাস্তি কিংবা জরিমানা করার খবর পাওয়া যায়নি।

নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার নূর মোহাম্মদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোলায় টহল শুরু হয় আমাদের। বিনা কারণে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করা অনেককে করোনাভাইরাস সম্পর্কে বুঝিয়ে ঘরে ফেরাতে সক্ষম হয়েছি আমরা। যারা অতি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (২৭ মার্চ) ভোলা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মিটিং করব আমরা। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।

ভোলার সাত উপজেলায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৭৫ জন। ভোলা সদরে ৯৮, পৌর এলাকায় ছয়জন, বোরহানউদ্দিনে ৩৫ জন, দৌলতখানে ৪৯ জন, লালমোহনে ৩৭ জন, তজুমদ্দিনে ৬৪ জন, চরফ্যাশনে ৫২ জন ও মনপুরায় ৩১ জন। করোনা সন্দেহে বর্তমানে একজন আইসোলেশনে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

ভোলার সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী বলেন, এ পর্যন্ত ৩৭৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১২০ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আমাদের হাতে রিপোর্ট এলে নিশ্চিত হতে পারব তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না। তার আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

বিএ-০৮/২৬-০৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)