টহলে ধরা ইউপি সদস্য, কান ধরে ওঠবস করায় নৌ-সেনারা

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজ অফিসে গণজামায়াত করায় বরগুনায় এক ইউপি সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে নৌবাহিনী। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালি বাজার থেকে ওই ইউপি সদস্যকে আটক করা হয়।

অর্থদণ্ডে দণ্ডিত ওই ইউপি সদস্যের নাম আবু হেনা মোস্তফা কামাল মিল্টন। তিনি সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এছাড়াও রাস্তায় অহেতুক ঘোরাফেরা এবং মাস্ক ব্যবহার না করায় একাধিক ব্যক্তিকে কান ধরিয়ে ওঠবস করায় নৌ-সেনারা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার পর বরগুনার বিভিন্ন স্থানে জরুরি পণ্য বিক্রয়ের দোকান ব্যতীত অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ এবং সড়কে অহেতুক ঘোরাফেরা প্রতিহত করতে অভিযান চালায় নৌবাহিনী। তাদের সাথে ছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান, আরিফ উল্লাহ নিজামী এবং মো. মেহেদী হাসান।

সন্ধ্যা ৭টার কিছু পর বরগুনার সার্কিট হাউজ মাঠ, সদর রোড, পোটকাখালি, বড়ইতলা ফেরিঘাট, কেজি স্কুল, বটতলা ও নাথপট্টি লেক এবং ক্রোক স্লুইজ এলাকায় অভিযান চালায় নৌবাহিনী। এ সময়ে রাস্তায় অহেতুক ঘোরাফেরা এবং মাস্ক ব্যবহার না করায় চার ব্যক্তিকে কান ধরিয়ে ওঠবস করিয়ে সতর্ক করে নৌবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেও প্রচারণা চালান নৌ-সেনারা।

এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দণ্ডিত ওই ইউপি সদস্যকে গণজামায়েতরত অবস্থায় তার অফিসে আটক করে নৌবাহিনী। এরপর সংক্রমণ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন অনুযায়ী তাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত ও সাধারণ মানুষকে ঘরমুখো এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে বরগুনায় এ ধরনের অভিযান চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যৌথ এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

নৌবাহিনীর অভিযান পরিচালনার বিষয়ে বরগুনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা কমান্ডার নুরু-উজ-জামান বলেন, সংক্রামক ব্যাধি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বরগুনার মানুষকে মুক্ত রাখতে সরকার আমাদের মাঠে নামিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট বন্ধ এবং অহেতুক সড়কে চলাফেরা বন্ধ করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের এই অভিযান চলমান আছে এবং পুরো দেশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে।

বিএ-২৩/২৬-০৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)