কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় কামাল হোসেন (৪০) নামে এক রোগী সর্দি,কাশি ও জ্বর নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন। রোববার সকাল ১১টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন কামাল। টিকিট কেটে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক তাকে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন।
ডা. হাফিজুর রহমান মাসুদ আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করে সন্দেহ করেন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। চিকিৎসক যখন রিপোর্ট লিখবেন এই সুযোগে রোগী কামাল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
পরে তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর সংস্পর্শে আসা তিন চিকিৎসক ও চার স্টাফকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়।
একই সময় কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার ধ্রুব নামে এক যুবক হাসপাতালে সর্দি-কাশির চিকিৎসা নিতে আসে। তাকে একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য শহরের মেডিস্ক্যান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠালে সেখান থেকে ধ্রুব পালিয়ে যান। পরে তার অবস্থান চিহিৃত করে তাকে তার বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সৈয়দ নজরুর ইসলাম মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক হাফিজুর রহমান মাসুদ জানান, রোগী কামাল হোসেনের মধ্যে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ ছিল।
আর ধ্রুব নামে রোগীর বিষয়টি সম্পর্কে ডা. মারুফ বলেন, সে করোনায় আক্রান্ত এমন লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া তিন চিকিৎসক ও চার স্টাফকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। হোসেনপুর থেকে আসা রোগী কামালের অবস্থান জেনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধ্রুবকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
বিএ-০৯/২৯-০৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)