রাতে ৩৩৩ নম্বরে ফোন, ত্রাণ নিয়ে বিধবার বাড়ি গেলেন ইউএনও

স্বামী মারা গেছেন অনেক আগেই। বৃদ্ধা শাশুড়ি আর তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে কষ্টের সংসার রহিমার (ছদ্মনাম)। স্থানীয় মাদরাসায় আয়ার কাজ করে দৈনিক ১০০ টাকা পেতেন, তিন সপ্তাহ ধরে সেই আয়ও বন্ধ। তাই ছেলেমেয়েদের নিয়ে এক প্রকার খেয়ে না খেয়েই দিন কাটছে রহিমা ও তার পরিবারের।

পাশের বাড়ির একজনের কাছ থেকে রহিমা শুনেছিলেন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে সহায়তা দিচ্ছে সরকার। তাই আশায় বুকবেঁধে ফোন করেন ৩৩৩-এ। সেখান থেকে পাওয়া ফোন নম্বর নিয়ে ফোন দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। সব শুনে এই রাতেই ত্রাণ নিয়ে সেই বিধবার বাড়িতে হাজির হন ইউএনও।

বুধবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মধ্য বুড়িশ্চর গ্রামের ওই বিধবার পরিবারের সহায়তায় নিয়ে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন।

স্থানীয়রা জানান, রহিমা স্থানীয় মাদরাসায় আয়ার কাজ করেন। সম্প্রতি সরকার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় কর্মহীন হয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছিলেন রহিমা ও তার পরিবার। এদিকে সরকার ঘোষিত ত্রাণ সহায়তাও তার পরিবার পায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, ‘ওই নারী আজ সন্ধ্যায় ফোন দিয়ে বলেন, স্যার আমি খুব কষ্টে আছি। আমার সহায়তা প্রয়োজন। এ সময় তিনি জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে যে সহায়তা পাঠানো হয়েছে, তিনি তা পাননি। পরে আমি নিজে গিয়ে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ, পাঁচ কেজি আলু এবং দুই লিটার তেল তার বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি।’

ইউএনও বলেন, ‘হাটহাজারী উপজেলার জন্য জেলা থেকে আট টন চাল ও ৫০ হাজার নগদ টাকা পাঠানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে। সেই সহায়তা পাচ্ছেন শুধু দিনমজুররা। তাই এই দুঃসময়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির বাইরে থেকে যাচ্ছেন অনেকে। এ জন্য প্রতিটি এলাকায় ধনীদের এগিয়ে আসা খুব প্রয়োজন।’

বিএ-০২/০২-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক. তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ)