ফোন করলেই ঘরে পৌঁছে যায় ত্রাণসামগ্রী

করোনা দুর্যোগের কারণে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মার্চ মাসের বেতন পাননি, পাবেন কি-না সেটিও নিশ্চিত নয়। সমাজের এই নিম্ন-মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীরা অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছেন। সামাজিক আত্মসম্মানের ভয়ে সরকার বা স্থানীয়ভাবে কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছেন না তারা। এমন নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মাজেদুর রহমান খান। ‘ত্রাণ যাবে বাড়ি’ উদ্যোগের মাধ্যমে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন ডিসি।

নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হটলাইন চালু করেছেন তিনি। মধ্যবিত্তরা হটলাইনে যোগাযোগ করলে ত্রাণসামগ্রী তাদের ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়। এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত হটলাইনে কল আসা ২২৬ পরিবারের বাড়িতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এটি অনন্য দৃষ্টান্ত বলে দাবি করেছেন অনেকেই।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত হটলাইনে কল রিসিভ করা হয়েছে ১৯৩টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১১৯ পরিবারে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হটলাইনে কল রিসিভি করা হয়েছে ১০৫টি। এর মধ্যে ১০৭ পরিবারে মোটরসাইকেল দিয়ে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি লবণ, আধা কেজি ডাল, এক কেজি গুঁড়া দুধ ও একটি সাবান।

অবশ্য এর আগে মধ্যবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ। বুধবার রাতে ডিসি গুলশান- ডিএমপির ফেসবুক পেজ থেকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেয়া হয়। পোস্টটি দেন গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘অসহায়, দুস্থ , নিম্ন আয়ের চাকুরিজীবী, নিম্নমধ্যবিত্ত যারা কারেও নিকট হাত পাততে পারেন না তাদের সাহায্যের জন্য মোবাইল নম্বসহ ইনবক্স করুন। পরিচয় গোপন রেখে সাধ্যমত সাহায্য করা হবে।’

বিএ-১৫/০৩-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)